আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বরেণ্য অভিনেতা ও নির্মাতা আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন আমজাদ হোসেনের দুই ছেলে সোহেল আরমান ও সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। সঙ্গে ছিলেন ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক। এরই মধ্যে হাসপাতালে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এ বিষয়ে এস এ অলিক বলেন, ‘আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী নিজেই আমাদের ডাকান। সেখানে আমি ও আমজাদ ভাইয়ের দুই ছেলে গিয়েছিলাম। তিনি পুরো বিষয়টি খুব মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং আমজাদ ভাইয়ের চিকিৎসার সব ধরনের দায়িত্ব নেন। কোনো একটি পত্রিকার খবর পড়ে উনি জেনেছেন যে আমজাদ ভাই অসুস্থ, হাসপাতালে।’

অলিক আরো বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কথা বলার সময়ই একটি মেডিকেল টিম হাসপাতালে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রয়োজন হলে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসার আশ্বাস দেন তিনি। সবচেয়ে অবাক হওয়ার বিষয়, আমরা কেউ কিন্তু উনার সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। উনি নিজের দায়িত্ব মনে করে আমাদের ডেকেছেন।’

গত রোববার সকাল ৯টার দিকে আমজাদ হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার তাঁকে (আমজাদ হোসেন) বিছানার নিচে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। কখন তিনি অচেতন হয়েছেন, তা আঁচ করতে পারেননি সুরাইয়া আক্তার। এরপর সকাল ১০টার দিকে তাঁকে ইমপালস্ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন গত রোববার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় আমজাদ হোসেনের।

আমজাদ হোসেন অভিনেতা, পরিচালক হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্র শুরু করেন তিনি। পরে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা শুরু করেন।

প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আগুন নিয়ে খেলা’, ছবিটি পরিচালনা করেন ১৯৬৭ সালে। পরিচালক হিসেবে ‘নয়নমনি’ (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), ভাত দে (১৯৮৪) তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।

‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেন। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।

এ ছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

Print Friendly

Related Posts