আমার সব বাজেটই নির্বাচনী: অর্থমন্ত্রী

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘আমার সব বাজেটই নির্বাচনী বাজেট। আমি একটি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, তাই বাজেট নির্বাচনী হবে। তিনি বলেন, সব বিষয় মাথায় রেখে বাজেট দেওয়া হয়। এ বাজেট গরিব মারার বাজেট নয়, তেলা মাথায় তেল দেওয়ার বাজেট নয়।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আমি অত্যন্ত দুঃখিত, বাজেট নিয়ে আপনাদের প্রশ্নগুলো  একেবারেই মিনিং লেস। বাংলাদেশ এখন কি অবস্থা আছে আপনারা জানেন? এ দেশে দরিদ্র্য বাড়ছে না। যে বলে দেশে দরিদ্র্য বাড়ছে তারা মিথ্যা বলছে। আপনারা  এমন সব প্রশ্ন করছেন উত্তর দিতেও  লজ্জা করে। যারা দেশের পরিবর্তন স্বীকার করে না, তারা বলে দেশে দারিদ্র বেড়েছে। আপনারা কোন মুখে বলেন গরিব মারার বাজেট!

শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। যা ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের চেয়ে ৬৪ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা বেশি। এ বাজেটে ঘাটতি দেখানো হয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।

সঞ্চয়পত্রের সুদহার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদহার বাজেটের পরের মাসেই সমন্বয় করা হবে। সাধারণত দুই তিন বছর পরপরই আমরা সুদহার সমন্বয় করি। কিন্তু এবার একটু দেরি হয়েছে। তাই এবার বাজেটের পরই এটা সমন্বয় করব।নির্বাচনী বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রত্যেক বাজেটই নির্বাচনী বাজেট, কারণ আমি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সব বিষয় মাথায় রেখে বাজেট দেওয়া হয়। এ বাজেট গরিব মারার বাজেট নয়, তেলা মাথায় তেল দেওয়ার বাজেট নয়।

এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান (এনবিআর) বলেছেন, অনলাইন কেনাকাটায় কর নেই। এটা বাজেট বক্তৃতায় ভুল ছাপা হয়ে থাকতে পারে। তবে গুগল ও ইউটিউবে কর বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, অনলাইন কেনাকাটায় ৫ শতাংশ কর নেওয়া হবে না। এটা হয়তো প্রিন্টিং মিসটেকস হয়েছে। ফেসবুক, গুগলসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আয়ের উপর কর আরোপ করা হয়েছে। তবে অনলাইনে কেনাকাটার জন্য জনগণকে কোনো কর দিতে হবে না।

অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় অনলাইন কেনাকাটায় ৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে বলে সাংবাদিকরা অবগত করলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি ভুলে ছাপা হতে পারে।

Print Friendly

Related Posts