আরিফুলের বিজয় মিছিলে সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতা নিহত

ওসি মোশাররফ বলেন, সন্ধ্যায় আরিফুলকে মেয়র ঘোষণার পর ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বিজয় মিছিল নিয়ে তার বাসার সামনে যায়। মিছিল নিয়ে জড়ো হওয়া ছাত্রদল নেতাকর্মীদের কয়েকজন সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে রাজুসহ তিনজন আহত হন। রাজুকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত সোয়া ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। অস্ত্রধারীদের বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে আরিফুল হক পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বিজয় মিছিল নিয়ে তাঁর বাসার সামনে যান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় শাহী ঈদগাহর দিক থেকে কয়েকটি মোটরসাইকেলে কিছু যুবক এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা স্ট্যাম্প, দাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। তখন এক যুবক সেখানে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। ছাত্রদলের জেলা কমিটির নেতাকর্মীরা পদবঞ্চিত ছাত্রদলের কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এ ঘটনায় পদবঞ্চিত ছাত্রদলের কর্মী উজ্জ্বল, সাবেক নেতা ফজলুর রহমান রাজুসহ তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ছয়জন আহত হন।

এদিকে এই হামলার জন্য অভিযুক্ত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলফ হোসেন সুমন দাবি করেন, জেলা ছাত্রদল এই হামলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

রাজুর মৃত্যুর পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেয়র আরিফুল হাসপাতালে গিয়ে শোক প্রকাশ করেন। সংঘর্ষ সম্পর্কে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা হামলা করে রাজুকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।

Print Friendly

Related Posts