বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর নবনির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসার সামনে ছাত্রদলের বিজয় মিছিলের মধ্যে হামলা-সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অন্তত দুইজন। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আরিফের কুমারপাড়াস্থ বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আরিফুল হক চৌধুরী তাঁর বাসায় অবস্থান করছিলেন বলে জানা যায়।
নিহত ফয়জুল হক রাজু সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক। ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে বলে সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি মোশাররফ হোসেনের ভাষ্য। ছাত্রদল কর্মীরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আক্রান্তদের দাবি, ছাত্রদলের বর্তমান জেলা ও মহানগর কমিটির সশস্ত্র ক্যাডাররা এ হামলা চালিয়েছেন।
ওসি মোশাররফ বলেন, সন্ধ্যায় আরিফুলকে মেয়র ঘোষণার পর ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বিজয় মিছিল নিয়ে তার বাসার সামনে যায়। মিছিল নিয়ে জড়ো হওয়া ছাত্রদল নেতাকর্মীদের কয়েকজন সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে রাজুসহ তিনজন আহত হন। রাজুকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত সোয়া ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। অস্ত্রধারীদের বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে আরিফুল হক পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বিজয় মিছিল নিয়ে তাঁর বাসার সামনে যান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় শাহী ঈদগাহর দিক থেকে কয়েকটি মোটরসাইকেলে কিছু যুবক এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা স্ট্যাম্প, দাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। তখন এক যুবক সেখানে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। ছাত্রদলের জেলা কমিটির নেতাকর্মীরা পদবঞ্চিত ছাত্রদলের কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এ ঘটনায় পদবঞ্চিত ছাত্রদলের কর্মী উজ্জ্বল, সাবেক নেতা ফজলুর রহমান রাজুসহ তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ছয়জন আহত হন।
এদিকে এই হামলার জন্য অভিযুক্ত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলফ হোসেন সুমন দাবি করেন, জেলা ছাত্রদল এই হামলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
রাজুর মৃত্যুর পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেয়র আরিফুল হাসপাতালে গিয়ে শোক প্রকাশ করেন। সংঘর্ষ সম্পর্কে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা হামলা করে রাজুকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।