বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ নাইজেরিয়া বিশ্বকাপ দলের অধিনায়ক জন ওবি মিকেল বলেছেন, ‘আমরা ফুটবল ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না।’’ তাঁর আরও কথা, ‘‘জানি আইসল্যান্ডকে হারাতেই হবে। না হলে প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে যাব। কিন্তু আমরা জিততেই চাই। আর সেটার জন্য যা যা দরকার তার সবই আমরা অনুশীলনে করছি।’
আইসল্যান্ডের কোচ হেইমের হালগ্রিমসন বলেছেন, ‘সবাই জানে এই ম্যাচটা নাইজেরিয়াকে জিততেই হবে। এবং এখানেই মানসিক দৃষ্টিকোণ থেকে পার্থক্যটা তৈরি হয়। এই জিততেই হবে ভাবা মানে বিরাট চাপ। আমাদের সুবিধে এ রকম কোনও চাপ থাকবে না।’
চাপ না থাকলেও দু’দলের কাছেই যে আইসল্যান্ড-নাইজেরিয়া মরণ-বাঁচন লড়াই সে কথা মেনে নিচ্ছেন হেইমের, ‘সবাই বুঝতে পারছে এই গ্রুপের মীমাংসা একেবারে শেষ মিনিটে গিয়ে হবে। হতে পারে শেষ ম্যাচে গিয়ে ছবিটা পরিষ্কার হবে। হতে পারে কোনও একটা বিশেষ সেটপিস অথবা অতিরিক্ত সময়ের গোল আমাদের গ্রুপের হাসি-কান্নার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’
মুখে যাই বলা হোক। চাপ কিন্তু আইসল্যান্ডেরও আছে। কোনও দলেরই গা আলগা দেওয়ার কোনও অবকাশ নেই। মেসির পেনাল্টি আটকে নায়ক আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক হানেস হ্যালডারসঁ তাই আর্জেন্টিনা ম্যাচ নিয়ে আর ভাবতেই রাজি নন, ‘অতীতে কী হয়েছে ভুলে যাওয়াটা এখন সবার আগে দরকার।’’ সেই সাফল্যে ভুলে তিনি নাইজেরিয়া ম্যাচে নতুন ভাবে ঝাঁপাতে চান। প্রায় একই ধরনের প্রতিক্রিয়া আইসল্যান্ড অধিনায়ক অ্যারন গুনারসনের, ‘আর্জেন্টিনা ম্যাচে কী হয়েছে ভেবে বসে থাকলে বড় ভুল হবে। তা ছাড়া নাইজেরিয়াকে নিয়ে না ভাবলে, আর জিততে না পারলে আগের ম্যাচের ফলও তো অর্থহীন হয়ে যাবে।’
বৃহস্পতিবার আইসল্যান্ড দলের অনুশীলন যারা দেখলেন, তাদের কাছে পরিষ্কার ঠিক কোন জায়গায় জোর দিচ্ছে হেইমের। প্রথমত সেটপিস। পরের পর কর্নার, ফ্রি-কিক আর পেনাল্টি অনুশীলন করালেন তিনি ফুটবলারদের। নাইজেরিয়া যে জায়গায় পেরে না উঠেই মূলত ০-২ হেরেছে ক্রোয়েশিয়ার কাছে। সঙ্গে ডাইরেক্ট ফুটবলের অনুশীলন। এখানেও নাইজেরিয়া এ বার মার খাচ্ছে।
এ দিকে, শিবিরের পরিবেশ হাল্কা করতে এ দিন আইসল্যান্ড ম্যানেজার তার ফুটবলারদের বলে যান, ‘অনুশীলনের পরে তোমরা যত ইচ্ছে মজা করো। কিন্তু শুধুই নিজের স্ত্রীর সঙ্গে।’’ তাতে আইসল্যান্ড অধিনায়কের রসিকতা, ‘‘জানি না স্ত্রীরা কখন আসবে। সেই অপেক্ষাতেই আমরা আছি।’
আনন্দবাজারপত্রিকা