আর্জেন্টিনা সব হিসেব চুকিয়ে শেষ ষোলোতে

বাঁচা-মরার ম্যাচে নাইজেরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় উঠেছে আর্জেন্টিনা। সেন্ট পিটার্সবার্গে ম্যাচ শুরু হয় বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ১২টায়। প্রথম দুই ম্যাচ থেকে মাত্র এক পয়েন্ট পাওয়া আর্জেন্টিনা শুরু থেকেই আক্রমণে নামে। আর পঞ্চদশ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে নেন মেসি। মাঝমাঠ থেকে এভার বানেগার উঁচু করে বাড়ানো বল বা ঊরু দিয়ে নামিয়ে বাঁ পায়ের টোকায় একটু সামনে নিয়ে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে জালে পাঠান বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ড। এবারের আসরে আর্জেন্টিনা অধিনায়কের এটাই প্রথম গোল।

২৭তম মিনিটে মেসির দারুণ পাসে সুযোগ আসে হিগুয়াইনের সামনে। একাদশে ফেরা ফরোয়ার্ড সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ছুটে এসে দারুণ দক্ষতায় দলকে বাঁচান গোলরক্ষক ফ্রান্সিস। ৩৪তম মিনিটে আবারও গোল পেতে পারতেন মেসি। ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে আর্জেন্টিনা অধিনায়কের ফ্রি-কিকে বল লাগে পোস্টে। গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে কোনোমতে গ্লাভস ছোঁয়াতে না পারলে বলটা যেতে পারতো জালে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ষষ্ঠ মিনিটে সমতা ফেরায় নাইজেরিয়া। কর্নারের সময়ে হাভিয়ের মাসচেরানো লিওন বালোগুনকে দুই হাতে ধরে রেখে ফেলে দিলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। ভিডিও ফুটেজ দেখার পর সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি। ঠাণ্ডা মাথায় গড়ানো শটে বল জালে পাঠান ভিক্টর মোজেজ।

সমতা ফেরানোর পরপরই আবার রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে নাইজেরিয়া। সে সময়ে সংগ্রাম করতে হয় মেসিদের। ৭৫তম মিনিটে রোহোর মারাত্মক ভুলে সুবর্ণ সুযোগ এসে যায় ওদিওন ইঘালোর সামনে। তবে খুব কাছে থেকেও এই ফরোয়ার্ড শট লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। ৮০তম মিনিটে ডি বক্সে বল পেয়ে যান অরক্ষিত হিগুয়াইন। লক্ষ্য রাখতে পারেননি তিনিও। নষ্ট হয়ে যায় দলকে এগিয়ে নেওয়ার ভালো একটি সুযোগ। তিন মিনিট পর গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান ইঘালো। এবারও জালের দেখা পাননি তিনি। পা দিয়ে তার শট ঠেকিয়ে দেন অভিষিক্ত গোলরক্ষক আরমানি।

৮৬তম মিনিটে আসে রোহোর সেই গোল। গাব্রিয়েল মের্কাদোর ক্রসে দারুণ ভলিতে জাল খুঁজে নেন ম্যানচেস্টার ইউনাটেডের এই ডিফেন্ডার। বাকি সময়টুকু নিজেদের জাল অক্ষত রেখে কাটিয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। ফ্রি-কিক নিতে দেরি করে হলুদ কার্ড দেখেন মেসি।

বিশ্বকাপে এ নিয়ে পাঁচবার নাইজেরিয়াকে হারাল আর্জেন্টিনা। প্রতিবারই ন্যূনতম ব্যবধানে হেরেছে আফ্রিকার দেশটি।

Print Friendly

Related Posts