ইতালী প্রবাসী বাংলাদেশীরাও উদযাপন করল জমজমাট বৈশাখী উত্সব

সহযোগিতায় ছিল মহিলা সমাজ কল্যাণ সমিতি ইতালি 
ইসমাইল হোসেন স্বপন, ইতালীঃ গুটি গুটি পায়ে বাংলা বছর এসে থামল ১৪২৫ -এর দুয়ারে। প্রতি বছরের ন্যায় সব শ্রেণির বাঙালি এ দিনটিকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করে যাচ্ছে, তার ব্যাতিক্রম নয় ইতালী প্রবাসী বাংলাদেশীরাও। বাংলা নববর্ষকে ঘিরে পুরনো দুঃখ-গ্লানিকে ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে ইতালি রোম তরপিনাত্তারা বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
ইতালির রোমের তরপিনাত্তারা বাসীর আয়োজনে ও মহিলা সমাজ কল্যাণ সমিতি ইতালির সহযোগিতায় দিন ব্যাপি অনুষ্ঠানের মধ্যে পালন হলো বৈশাখী উৎসব।এতে যোগ দেন ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশী সহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা।
এতে মহিলা সমাজ কল্যাণ সমিতি ইতালী সভাপতি লায়লা শাহ’র সভাপতিত্বে ও বাংলা কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব রবিন খান ও শেমল খান এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাস রোম ইতালীর কাউন্সিলর একরামুল হক।
মেলায় আরো অংশগ্রহণ করেন ইতালীর বিভিন্ন আঞ্চলিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ সমিতি ইতালী, ইতালী আওয়ামী লীগে, ইতালী বিএনপি, ই পি বি এ ইতালী, বৃহত্তর ঢাকা সমিতি, জালালাবাদ কল্যাণ সংঘ বৃহত্তর সিলেট ইতালী, বরিশাল বিভাগ সমিতি, নোয়াখালী জেলা সমিতি, তুসকোলানা সমাজ কল্যাণ সমিতি ইতালী, মহিলা সমাজ কল্যাণ সমিতি ইতালী, মহিলা সংস্থা ইতালী, বাংলাদেশ খ্রিস্টান মহিলা সমিতি ইতালী, নবজাগরন নারী উন্নয়ন সংস্থা তুসকোলানা সহ রোমের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
thumbnail-(1)+
ভিন্ন এক নতুন আমেজে ইতালির রোমস্ত তরপিনাত্তারা via francessco বৈশাখী মেলায় মাঠ ছিল লোকে লোকারণ্য। মেলায় উপস্থিত হয়েই দেখা গেছে  লাল নীল রঙবেরঙ শাড়ি, কামিজ আর পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে ইতালিস্থ প্রবাসী বাঙ্গালীরা ছুটছেন মেলা মঞ্চের দিকে। পার্কের কাছে পৌঁছাতেই কানে আসে বাংলা গানের সূর। বৈশাখী মেলার পার্কে চারিদিকে লোকে লোকারণ্য। সুবিশাল পার্কে গোল করে বসানো সারি সারি স্টল। ঝালমুড়ি, চানাচুর, ফুচকা-চটপটি ও বিরিয়ানি সহ স্টলগুলোতে নানা বাঙালি খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন রোমের বাংলাদেশিরা।
নিজেদের সংস্কৃতির সঙ্গে সন্তানকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার এক বড় সুযোগ এই মেলা। বিদেশের মাঝে আপন সংস্কৃতিকে ধারণ করে একটা দিন কাটানো যায় এই মেলায়।
ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।  বাংলাদেশ থেকে আসা শিল্পী ও স্থানীয় বাংলা সংগীতের মূর্ছনায় মেলা ছিল আনন্দ মুখর। নিয়মিত বিরতি দিয়ে পরিবেশিত হয় নৃত্য। নৃত্য পরিবেশন করেন অর্পিতা শিকদার, সিমনা সরকার, স্থানীয় বাংলা সংগীত শিল্পীদের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে আসা শিল্পী শসী ও ম্যাজিশিয়ান শাহীন শাহ দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন।পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পী রত্না বসাক গান গেয়ে দর্শক দের মন  জয় করে নেন।আর গানের সাথে তাল মিলিয়ে মহিলা সমাজ কল্যাণ সমিতির ভাবিরা ঐতিহ্যবাহী সিলেটের পান নিয়ে মাঠের চারিপাশ অবতরন করে দর্শকদের মধ্যে বিতরন করতে থাকেন।
পরিশেষে মেলার আয়োজকদের পক্ষে মহিলা সমাজ কল্যাণ সমিতি সভাপতি লায়লা শাহ বলেন, প্রতি বছর বৈশাখী মেলা আয়োজন করে তরপিনাত্তারা বাসী।এবার যেভাবে আপনাদের সহযোগীতা করেছেন আগামীতে সহযোগিতা করলে আগামীতে আরো সুন্দর অনুষ্ঠান আপনাদের উপহার দিতে পারব। তিনি যারা সহযোগিতা করেছে তাদের নাম ঘোষনা করেন..মেঘনা আলিমেন্টারি, সুরমা আলিমেন্টারি, রয়েল লন্ড্রী, ব্রাক সাজান, মাল্টি মিডিয়া পয়েন্ট, সুবাত বাসমতি রাইস, ইউরো বাংলা রেষ্টুরেন্ট, সুন্দরবন রেষ্টুরেন্ট, বাংলার স্বাদ রেষ্টুরেন্ট, হাসান আলিমেন্টারি, ম্রিধা আলিমেন্টারি, রোমা ঢাকা, হারুন আলম ফ্রুট্টা, লায়লা ফ্যাশন ও সুলতানা ফ্যাশন।
লায়লা শাহ সকলকে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
Print Friendly

Related Posts