বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের তফসিল পেছানোর দাবির বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, তফসিল পেছানোর দাবি জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। আমরা তাদের আশ্বস্ত করিনি। ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে ৭ নভেম্বর সংলাপে নজর রাখা হবে এবং এ নিয়ে ৮ নভেম্বর সকাল ১০টায় কমিশন বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সচিব। তিনি বলেন, ডিসেম্বরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শহরাঞ্চলে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান সচিব।
এদিকে সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি (জেএসডি) আ স ম আবদুর রব বলেন, তফসিল পেছানোর বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেনি। তবে আমাদের মনে হয়েছে, তারা এই সিদ্ধান্তে অটল না। আশা করছি, তারা তফসিল ঘোষণা পেছাবে।
আ স ম রবের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুলতান মনসুর, নঈম জাহাঙ্গীর।
অন্যদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম, রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।
বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল পেছানো, বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েন, ইভিএম বাতিল এবং ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
আ স ম আবদুর রব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে আমরা যে ৭ দফা দাবি জানিয়ে ছিলাম, সেই দাবিগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে কমিশনের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৭ নভেম্বর ফের আমাদের সংলাপ। সেখানে আলোচনার পর আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় রয়েছে। কাজেই ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার সুযোগ নেই। আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত যেহেতু সময় আছে এবং তফসিল ঘোষণার তারিখ পরিবর্তনের নজিরও রয়েছে অতীতে।
তিনি বলেন, সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে ইসি বলেছে, আমরা একবারও বলিনি সেনা মোতায়েন করা হবে না। যদিও সেনা মোতায়েন করা হবে- এমন কথাও ইসি বলেনি। তবে এই দাবিতে আমরা জোর দিয়েছি। তারা দাবিটি বিবেচনা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। ইভিএম ব্যবহার দেশের জনগণ অর্থাৎ ভোটাররা চায় না, আমরা- কোনো রাজনৈতিক দলও চায় না। আমরা বলেছি, ইভিএম-এ ভোট ম্যানুপুলেশনের সুযোগ আছে। ইভিএম ব্যবহার করা হবে কি না- সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কিছু বলেনি। তবে তারা দাবি করেছে, এতে ম্যানুপুলেশনের সুযোগ নেই। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি, একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, নির্বাচনে যদি অনিয়ম হয় ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি পরও আপনাদের বাংলাদেশে থাকতে হবে।