কলকাতাকে পরাজিত করে সাকিবরা ফাইনালে

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে প্রাক্তন দলের বিপক্ষে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব আল হাসান। তাঁর অসাধারণ সাফল্যের দিনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদও নিশ্চিত করেছে ফাইনাল। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হায়দরাবাদ পরাজিত করেছে ১৩ রানে।

এই নিয়ে চলমান আইপিএলে দুইবারই ঘরের মাঠে হায়দরাবাদের কাছে হেরেছে কলকাতা। ইডেন গার্ডেনসে প্রথমে ব্যাট করা হায়দরাবাদ সাকিব ও রশিদ খানের ব্যাটিং নৈপুণ্যে স্কোরকার্ডে তোলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান। জবাব দিতে নেমে কলকাতা সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৬১ রান।

ইনিংসের নবম ওভারে সাকিবকে বোলিংয়ে এনেছিলেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। প্রথমে দিয়েছিলেন সাত রান। পরের ওভারে আরও মিতব্যয়ী সাকিব, দিয়েছেন মাত্র চার রান। শেষ ওভারেও মাত্র চার রানই গুনেছিলেন সাকিব, তবে সঙ্গে নিয়েছেন একটি উইকেটও।

দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কলকাতা অধিনায়ক দীনেশ কার্তিককে সোজা বোল্ড করে সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। কোটার বাকি থাকা এক ওভার অবশ্য আর করতে হয়নি সাকিবকে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক তিন ওভার বল করে ১৬ রান খরচায় নিয়েছেন একটি।

এর আগে ব্যাট হাতে দলের বিপর্যয়ে সাকিবের সংগ্রহ ছিল ২৮ রান। রানআউটে কাটা না পড়লে হয়তো আরও বাড় সংগ্রহ হতো। ২৪ বলে ৪ চার হাঁকানো সাকিব বল-ব্যাটে দারুণ নৈপুণ্যে ম্যাচের ‘মোস্ট স্টাইলিশ’ খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন।

তবে ম্যাচের পুরো আলোটা ছিল আফগান লেগ-স্পিনার রশিদ খানের উপরে। প্রথমে ব্যাটিংয়ে মাত্র ১০ বলে দুই চার আর চার ছয়ে করেছিলেন ৩৪ রান। বোলিংয়ে যেন আরও দুর্দান্ত ১৯ বছর বয়সী রশিদ। চার ওভার বল করে মাত্র ১৯ রানে তুলে নিয়েছেন তিন উইকেট, সঙ্গে দুই ক্যাচ। ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারটা তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁর হাতেই।

আগামী রোববার মাঠে গড়াবে আইপিএলের ১১তম আসরের ফাইনাল। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রাত ৮টায় চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হবেন সাকিবরা।

Print Friendly

Related Posts