কলেজ শিক্ষকের কান্ড, কেটেই ফেললেন ১৮টি মেহগনি গাছ

 

জাকির হোসেন বাদশা, মতলব (চাঁদপুর) ॥ মতলব উত্তর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের মধ্য ইসলামাবাদ গ্রামে জেদের বশে জোরপূর্বক গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি ওই কলেজ শিক্ষক আব্দুল কাদির তার ছোট ভাইয়ের সাথে জেদ করে ১৮টি মেহগনি গাছ কেটে ফেলেছেন।

কেরামত আলী দর্জির ছেলে জহিরুল ইসলাম (বুট্টু) অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই মতলব রয়মননেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের একজন শিক্ষক। জেদ করে আমার গাছগুলো অনৈতিকভাবে কেটে ফেলেছেন আমার ভাই। তিনি একজন শিক্ষক হয়ে এ অনৈতিক কাজটি করবেন এটা আমি কখনোই ভাবিনি।

বুট্টু বলেন, ‘আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ ভাটোয়ারা করার সময় ওই গাছগুলো আমার জায়গায় পড়েছে। কিন্তু আমার ভাই আব্দুল কাদির গাছগুলো আমাকে দিতে রাজি হননি। গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন যে, ওই ১৮টি গাছের পরিবর্তে আমি তাকে ৮ হাজার টাকা দিয়ে দিবো। কিন্তু তিনি গ্রামের পঞ্চায়েতদের সিদ্ধান্তকে না মেনেই আমার গাছগুলো কেটে ফেলেছেন। এ নিয়ে আমি গত প্রায় দুই মাস বিচার চেয়ে গ্রামের পঞ্চায়েতদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কিন্তু কোন সুরাহা পাচ্ছি না। তিনি আমাকে নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে এলাকায় ঢুকতে দিবেনা বলেও হুমকি দিচ্ছেন।’

মধ্য ইসলামাবাদ গ্রামের কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাদের সংসার যৌথ থাকাকালীন গাছগুলো শিক্ষক কাদির রোপণ করেছিল। জায়গা ভাগ হওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত দিয়েছি যে, ১৮টি গাছের পরিবর্তে ৮ হাজার টাকা কাদিরকে দিয়ে দিবে বুট্টু। কিন্তু কাদির আমাদের রায় অমান্য করেই গাছগুলো কেটে ফেলেছেন। এটা ঠিক হয়নি।

এ ব্যাপারে কলেজ শিক্ষক আব্দুল কাদির বলেন, ‘গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের দেওয়া রায় অনুযায়ী সে (বুট্টু) আমাকে টাকা দেয়নি, তাই গাছ কেটে ফেলেছি।’

Print Friendly

Related Posts