গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোট থেকে সরে দাঁড়ালো ঐক্যফ্রন্ট

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপি নেতা অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক। দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন তিনি।

এর আগে, জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ডা. মইনুল হাসান সাদিক। এসময় তিনি অভিযোগ করেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। ভোট ডাকাতি, ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট বক্স আগের রাতেই ভর্তির মহোৎসব ঘটেছে। এ কারণে এ আসনেও নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। তাই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছি।

একইসঙ্গে নির্বাচন বাতিল ও পুনরায় নির্বাচনের দাবিও জানান তিনি। এসময় জেলা ও সাদুল্যাপুর উপজেলা বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৭ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংদস নির্বাচনে এ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গত ২ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ঐক্যফ্রন্টের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ডা. মইনুল হাসান সাদিক।

এর আগে, এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী। তিনি গত ২০ ডিসেম্বর মারা গেলে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এ আসনে বৈধ প্রার্থী ছিলেন আটজন। ডা. সাদিক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় প্রার্থী থাকলো সাতজন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি ডা. ইউনুস আলী সরকার, জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী, জাসদের এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি, ইসলামী আন্দোলনের হানিফ দেওয়ান, বাসদের (খালেকুজ্জামান) সাদেকুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মিজানুর রহমান তিতু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদ।

 

Print Friendly

Related Posts