চৈত্র সংক্রান্তি : বিদায় ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ আজ চৈত্র সংক্রান্তি। ১৪২৪ বঙ্গাব্দের শেষ দিনও। পরের দিন শনিবার পহেলা বৈশাখ নতুন বাংলা বর্ষ ১৪২৫। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে কাল এ আহবান জানাবে বাঙালি।

বাংলা বছরের শেষ দিন হওয়ায় চৈত্র মাসের এ দিনটিকে বলা হয় চৈত্র সংক্রান্তি। বাংলার বিশেষ লোকজ উৎসব এই চৈত্র সংক্রান্তি। চিরায়ত অসাম্প্রদায়িক বাঙালির কাছে চৈত্র সংক্রান্তি এক বৃহত্তর লোক উৎসবে পরিণত হয়েছে।

শনিবারের সকালে ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। তেমনি পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুনকে বরণ করে নিতে ঢাকাসহ সারা দেশে আগামীকাল পালিত হবে চৈত্র সংক্রান্তির নানা আয়োজন। শেষ হবে যা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে।

চৈত্র সংক্রান্তি এক সময় গ্রামীণ জনপদের প্রধান উৎসব হলেও কালের প্রবাহে একসময় নাগরিক জীবনেও স্থান করে নেয় । এ উপলক্ষে দেশজুড়ে এখনও চলে নানা ধরনের মেলা, উৎসব। হালখাতার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, গান, আবৃত্তি, সঙযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠান।

তবে বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুসারীরা চৈত্র সংক্রান্তি পালন করবেন শনিবার । এদিন পুরান ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আয়োজন করা হয় ‘চৈত্র সংক্রান্তি’র শোভাযাত্রা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হয় শুভ হালখাতার।

বছরের শেষ এ দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করেন শাঁখারীবাজারের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। পুরান ঢাকার এ অঞ্চলটিতে একদল শিব-পার্বতী সেজে খোল-কর্তাল, মন্দিরার তালে তালে কীর্তন করে ছুটে চলেন এক মহল্লা থেকে আরেক মহল্লায়।

এদিকে রাজধানী ঢাকাতেও আজ চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে থাকছে নানা আয়োজন।বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে চৈত্র সংক্রান্তি পালন করবে। এসব অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ঘুড়ি উৎসব, রকমারি সব ঘুড়ির প্রদর্শনী, গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় লাঠি খেলা। এ ছাড়া থাকছে পুঁথি পাঠ, পুতুলনাট্য, পালাগান, গম্ভীরা ও রায়বেশের মতো লোকসংস্কৃতির নানা আয়োজন।

Print Friendly

Related Posts