জনসংখ্যার বিস্ফোরক তথ্য

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ১৯৮৯ সালে প্রথমবার পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য সামনে আসে। সেইসময়ে মোট জনসংখ্যা ছিল ৫০০ কোটি। আর জনবিস্ফোরণের কারণে ২০১৭ সালে তা পৌঁছে যায় ৭৫০ কোটিতে।

যার মধ্যে ভারত ও চীনেই ২৭৫ কোটির কাছাকাছি জনসংখ্যা বসবাস করে। যা মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ।

এক হাজার খৃষ্টাব্দে পৃথিবীর জনসংখ্যা এখনকার তুলনায় নগণ্য ছিল। সবমিলিয়ে ছিল ৪০ কোটি। অষ্টাদশ শতকে সারা পৃথিবীতে নানা উন্নত দেশে শিল্পবিপ্লব ও জনজীবন উন্নত হওয়া ও মৃত্যুর হার ধীরে ধীরে কমার কারণে একধাক্কায় জনসংখ্যার পরিমাণ বহুগুণ বাড়িয়ে দিল। ১৮০৪ সাল নাগাদ জনসংখ্যা ১০০ কোটিতে পৌঁছল।

পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল পাঁচটি দেশের মধ্যে প্রথমে রয়েছে চিন। দেশটির জনসংখ্যা ১৩৮ কোটি ৪২ লক্ষ। তারপর রয়েছে ভারত (১৩১ কোটি ৮৩ লক্ষ ৫০ হাজার), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৩২ কোটি ৫৩ লক্ষ ৮৬ হাজার), ইন্দোনেশিয়া (২৬ কোটি ৩৯ লক্ষ ৯১ হাজার) ও ব্রাজিল (২০ কোটি ৭৭ লক্ষ ১৮ হাজার)।

বিশ্বের সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ ভ্যাটিকান সিটি। জনসংখ্যা মাত্র ৮০১। এরপরে রয়েছে নাউরো (১০,০৮৪ জন), তুভালু (১০,৬৪০ জন), পালাউ (১৭, ৯৫০ জন), সান মারিনো (৩৩, ১২১ জন)।

প্রতিবছর পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার সঙ্গে ৮ কোটি করে মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এভাবে চললে ২১০০ সালে পৌঁছে পৃথিবীর জনসংখ্যা ১ হাজার ১২০ কোটিতে গিয়ে পৌঁছবে।

পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৫২ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের নিচে। প্রতি সেকেন্ডে পৃথিবীতে গড়ে ৪.৩টি শিশুর জন্ম হচ্ছে ও ১.৮ জন করে মানুষ গড়ে মারা যাচ্ছে। ১৮শ শতকে মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ শহরে থাকত। ২০৫০ সালে পৃথিবীর ৭০ শতাংশ মানুষ শহরের বাসিন্দা হবে। ১৯শ শতকে পৃথিবীতে মাত্র ১২টি এমন শহর ছিল যার জনসংখ্যা ছিল ১০ লক্ষের বেশি। বর্তমানে এমন শহরের সংখ্যা ৪০০টির বেশি। তার মধ্যে ১৯টি এমন শহর রয়েছে যার জনসংখ্যা ১ কোটির বেশি।

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আজ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘পরিকল্পিত পরিবার, সুরক্ষিত মানবাধিকার’। প্রতি বছর ১১ জুলাই জাতিসংঘের উদ্যোগে সারা বিশ্বে ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ পালিত হয়।  জনসংখ্যাকে সম্পদ বলা হলেও অতিরিক্ত জনসংখ্যা সম্পদ নয়, বরং বোঝা। অপুষ্টি, অপর্যাপ্ত শিক্ষার সুযোগ, বেকারত্ব, চিকিৎসা সেবার অপ্রতুলতা ইত্যাদি সমস্যার মূলে রয়েছে অতিরিক্ত জনসংখ্যা। তাই মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৮৯ সাল থেকে জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হচ্ছে।

Print Friendly

Related Posts