জাবিতে দুই ছাত্রীসহ চার জনকে মারধর

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এক সাংবাদিক ও এক ছাত্রীসহ চারজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সামনে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার মাহমুদুল হক সোহাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং চ্যানেল আই অনলাইন’র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি। মারধরের শিকার অপর দুইজন সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী।

মারধরকারী ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন- নেজামউদ্দিন নিলয় (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব, ৪২ ব্যাচ), রাফিউল সিকদার আপন (লোক প্রশাসন বিভাগ, ৪৭ ব্যাচ), সোহেল রানা (লোক প্রশাসন বিভাগ, ৪৭ ব্যাচ), শুভাশিষ শুভ (বাংলা ৪৫ ব্যাচ)। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হলের আবাসিক শিক্ষাথী এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চলের অনুসারী। এদের মধ্যে নেজামউদ্দিন নিলয় হল শাখা ছাত্রলীগের আসন্ন কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদশীর্রা জানায়, দুপুর সাড়ে বারোটায় দুই বহিরাগত বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুল সংলগ্ন এলাকায় বেড়াতে আসলে কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী তাদের মারধর করে এবং মোবাইল-মানিব্যাগ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সংবাদকর্মী মাহমুদুল হক সোহাগ ছাত্রলীগ কর্মীদের বাঁধা দিলে তারা তাকে গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ কর্মী নেজামউদ্দিন নিলয় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাহমুদুল হককে মারধরের নির্দেশ দেয়। উপস্থিত ছাত্রলীগকর্মীরা তাকে বেধড়ক কিল-ঘুষি দিতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে পাশের ঝোপে ফেলে দেয়। এসময় মাহমুদুল হককে রক্ষা করতে তার বিভাগের এক ছাত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও বেধড়ক মারধর করে। পরবর্তীতে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শিকদার মো: জুলকারনাইন বলেন, দুই সংবাদিক ও দুই ছাত্রীকে মারধরের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি অভিযোগপত্রটি হাতে পেয়েছি। সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ তদন্তে সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল বলেন, আমার জানামতে মারধরকারীরা ছাত্রলীগের কেউ নয়। তবে অভিযুক্তদের কেউ ছাত্রলীগকর্মী হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় প্রক্টর ও উপাচার্য বরাবর তারা মৌখিক ও লিখিত অভিযোগপত্র প্রদান করেন।

 

উপরের ছবি:  মারধরকারী নিলয় শুভ রানা আপন

Print Friendly

Related Posts