জিম্বাবুয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭২

একেবারেই বাজে একটি দিন কাটিয়েছিল বাংলাদেশ গতকাল রোববার। সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র ১৪৩ রানে প্রথম ইনিংস গুটিয়ে নিয়েছিল স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে ১৩৯ রানের লিড নেওয়া অতিথি দলটির দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও খুব একটা ভালো হয়নি। দলীয় মাত্র ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে বসলেও পরে বেশ সতর্কভাবেই খেলছিল। এরপর স্পিনার তাইজুল ইসলামের আঘাতে কিছুটা চাপে পড়ে তারা।

সেই চাপ সামলে জিম্বাবুয়ে ভালোই এগিয়েও গিয়েছিল। ধীরে ধীরে বড় লিডের পথে যখন এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই হঠাৎ পথ হারিয়ে ফেলে তারা। তাইজুলের বোলিং তোপে একরকম নাজেহাল হয়ে পড়ে তারা।

আজ সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের তৃতীয় দিনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে ৬৪.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান করে। তখন পর্যন্ত তাদের লিড ছিল ২৬৯ রানের।

এর আগে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ২৮২ রান করেছিল। ইনিংসটা খুব একটা বড় না হলেও পরে বোঝা গেছে এই উইকেটে তা যথেষ্টই ভালো ইনিংস ছিল।

তবে বল হাতে বাংলাদেশি স্পিনার তাইজুল ইসলামের উজ্জ্বলতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তিনি ১০৮ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। সাড়ে তিন বছর পর, টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থবারের মতো পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন তিনি।

পরে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখায়। দেড় শতক করতে পারেনি। দলীয় আট রানের মাথায় প্রথমে ইমরুল কায়েস (৫) সাজঘরে ফিরেছিলেন। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আরেক ওপেনার লিটন দাসও (৯) আউট হয়ে যান। তরুণ নাজমুল হোসেন শান্তও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি, পাঁচ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথে রওনা হন। শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও।

তবে অন্যদের ব্যর্থতার দিনে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান আরিফুল হক। ৪১ রানের হার না মানা চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন তিনি। কিছুটা চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম (৩১) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (২১)। কিন্তু তাঁরা খুব একটা এগিয়ে নিতে পারেননি। প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে স্বল্প রানে ইনিংস গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয় তারা।

Print Friendly

Related Posts