বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ‘ঠগস অফ হিন্দোস্তান’ ছবির জন্য কস্টিউম কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে কথাই জানালেন ছবির কলাকুশলীরা৷ ছবির প্রতিটি চরিত্রের জন্য কস্টিউমও একটি জরুরি রোল প্লে করছে৷ ফিরাঙ্গির জ্যাকেট, জুতো, দুরবিন, সুরাইয়ার নথ, জাফিরার ভারি আর্মার এবং খুদাবক্সের ধুতি, কুর্তার সবকিছুর মধ্যে রয়েছে আলাদা অর্থ৷ পোশাক যদি পারফেক্ট না হতো তাহলে ছবিটাই দাঁড়াতো না, এমনই মন থেকে মানছেন পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ আচার্য৷
আমির খান অর্থাৎ ফিরাঙ্গির লুকে ছিল ফাঙ্কিনেস৷ তাঁর ধুতি ছাডা় সবই বিদেশি আদবকায়দার পোশাক৷ অন্যদিকে ক্ষুদাবক্স(অমিতাভ বচ্চন) এর পোশাকে রয়েছে কৃষকের ছোঁয়া৷ কারণ ছবিতে একজন যোদ্ধার পাশাপাশি তিনি মন থেকে এক কৃষকও বটে৷ এছাড়া রয়েছে জাফিরা৷ এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফতিমা সানা সইখ৷ তাঁর চরিত্রের কস্টিউম ডিজাইন করা ছিল সবথেকে কঠিন৷ কারণ তাঁর চরিত্রের জন্য সঠিক পোশাক পরানো খুব প্রয়োজনীয়৷ যোদ্ধার মতো আর্মার, অথচ ফেমিনাইন ব্যাপার, দুটোই থাকা দরকার৷
এছাডা় ক্যাটরিনা ওরফে সুরাইয়ার কস্টিউম সবথেকে ভারসেটাইল৷ কারণ তাঁর পোশাকে একদিকে রয়েছে সিডাক্টিভ ছোঁয়া, অন্যদিকে আপাদমস্তক বদলে তা হয়ে যাবে যোদ্ধার বেশ৷ প্রসঙ্গত, আমিরের ‘ঠগস অফ হিন্দোস্তান’ নিয়ে সিনেপ্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। এই ছবিতে প্রথমবার ভিলেনের চরিত্রে দেখা যাবে আমিরকে।
খরচ যাই হোক, নিজের পিরিয়ড ড্রামাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে কোনও আপস করতে রাজি নন প্রযোজক। এই সিনেমার জন্য তৈরি হয়েছে আস্ত দুই জাহাজ। যা প্রায় একবছর ধরে তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ইউরোপের মাল্টা উপকূলে এই জাহাজ দু’টি তৈরি করার জন্য প্রায় হাজার শ্রমিক এক বছর ধরে কাজ করেছেন। অভিজ্ঞ ডিজাইনারদের পরামর্শও নেওয়া হয়েছে। তৈরি হওয়ার পর দু’টি জাহাজের ওজন হয়েছে দুই লক্ষ কিলোগ্রাম। আগামী ৮ নভেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি৷