`তারেক আর নাগরিক নন’

পাসপোর্ট জমা দেওয়ার প্রমাণ দেখাতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ আর তারেক রহমানের উকিল নোটিসের পর সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসে তারেকের মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টের কপি এবং ব্রিটিশ হোম অফিসের একটি নথি দেখান তিনি।

মা খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর তারেক প্রবাসে থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার আড়াই মাসের মাথায় শনিবার লন্ডনে শাহরিয়ার জানিয়েছিলেন, তারেক বাংলাদেশি পাসপোর্ট ত্যাগ করেছেন।

এর প্রতিক্রিয়ায় শাহরিয়ারকে আইনি নোটিস পাঠান বিএনপির এক আইনজীবী। বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে রুহুল কবির রিজভী সরকারকে বলেন, তারেক রহমান পাসপোর্ট জমা দিয়ে থাকলে তা দেখান।

এরপর সন্ধ্যায় নথিপত্র নিয়ে ঢাকার গুলশানে নিজের বাসায় সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

তিনি সংবাদ সম্মেলনের পর ফেইসবুকে তারেকের পাসপোর্ট, যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি ফেসবুকে তুলে দিয়ে লিখেছেন, “যে তথ্য প্রমাণ তারা চেয়েছিলো, নীচে দেয়া হলো।”

https://www.facebook.com/mdshahriar.alam.5/posts/10214915016122978

 

শাহরিয়ার বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে ব্রিটিশ হোম অফিসের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ২ জুন তার নিজের, স্ত্রীর, ও মেয়ের পাসপোর্ট লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে ‘ফেরত পাঠান’।

তিনি বলেন, “তারেক রহমানের পাসপোর্ট ইস্যু হয়েছিল ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮’এ… ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তিনি যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছিলেন ছয় মাসের ভিসা নিয়ে, একই বছর পাসপোর্টের মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন করলে, মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর করা হয়।”

দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে লন্ডনে থাকা তারেকের পাসপোর্টের মেয়াদ ২০১৩ সালে শেষ হয় বলে এর আগে বাংলাদেশের হাই কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন।

শাহরিয়ার বলেন, “পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে যদি তিনি বিদেশে পরিচয় দিতে চান, খুব স্বাভাবিকভাবে তার উচিৎ ছিল পাসপোর্ট রিনিউ করে নেওয়া বা ভ্যালিডিটি বাড়িয়ে নেওয়া। তা না করে তিনি তার নিজের এবং স্ত্রী-কন্যার পাসপোর্ট ব্রিটিশ হোম অফিসে জমা দিয়েছেন।”

পাসপোর্ট হস্তান্তর করার অর্থই কি নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেওয়া- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আমি এটাই মনে করব।

“বিদেশে আপনার পরিচয়- আপনার পাসপোর্ট। সেই পাসপোর্টটিই যখন আপনি ফিরিয়ে দিচ্ছেন, তার অর্থ আপনি নাগরিকত্ব ক্লেইম করছেন না… আপনার কাছে একটাই পরিচয়পত্র ছিল, আপনি তা হস্তান্তর করে দিয়েছেন, এটা কী বোঝায়?

“তাদের এখানে আসার ইচ্ছা নেই বলেই স্বপ্রণোদিত হয়ে পাসপোর্ট হস্তান্তর করেছেন। তাদের কারও কাছেই কোনো ভ্যালিড ট্রাভেল ডকুমেন্ট নেই, যা দিয়ে তারা বাংলাদেশে আসতে পারবেন।”

শাহরিয়ার জানান, তারেক ও তার পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্টগুলো হাতে লেখা। তারা এমআরপির জন্য আবেদন করেননি।

Print Friendly

Related Posts