ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব সহযোগিতা চাইলেন শেখ হাসিনার

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ভারতের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আজ শুক্রবার শপথ নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব। শপথ নেওয়ার আগে আজ সকালে বিপ্লব বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেন। ত্রিপুরার উন্নয়নে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার জনগণের সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, শুক্রবার দুপুরে শপথ নেয়ার আগে সকালে ঢাকায় ফোন করেন বিপ্লব কুমার দেব। তিনি ত্রিপুরার উন্নয়নে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বিপ্লব কুমার দেব বাংলাদেশের চাঁদপুরের ছেলে । আজ জাঁকালো শপথ অনুষ্ঠানে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহসহ দলটির নেতারা। ত্রিপুরার নতুন সরকারে বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা জিষ্ণু দেববর্মা উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।

গত মাসে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন হয়। বামদের দুর্গ গুঁড়িয়ে দিয়ে নির্বাচনে বিপুল জয় পায় বিজেপি। রাজনীতিতে অনেকটা আনকোরা বিপ্লবকে সামনে রেখেই বিজেপি নির্বাচন করেছিল। দলটি ৩৫টি আসন পেয়েছে। ৮টি আসন পাওয়া আঞ্চলিক দল ইন্ডিজেনিয়াস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরার সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন করেছে বিজেপি। দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকা মানিক সরকারের দল কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (সিপিআই-এম) পেয়েছে মাত্র ১৬টি আসন।

দায়িত্ব গ্রহণের আগে বিপ্লব এনডিটিভিকে তার অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র ও নতুন ভূমিকার কথা জানান। তিনি জনতার লোক হয়ে কাজ করার কথা বলেছেন। বিপ্লব বলেন, ‘জনগণ আমার প্রেরণা। তারাই আমার দল।’

ত্রিপুরার জনগণকে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিপ্লব। তিনি বলেছেন, ‘আমি ত্রিপুরাবাসীকে ভালোবাসি। কমিউনিস্ট ও মানিক সরকারকেও ভালোবাসি। কিন্তু আমি হতাশ যে, তারা (সিপিআই-এম) অনেকটা সময় পেয়েও রাজ্যের উন্নয়নে সম্পদের সদ্ব্যবহার করেনি।’

বিপ্লব রাজ্য বিজেপির দায়িত্ব পান ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে। তার বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ায়। উপজেলার মেঘদাইর গ্রামের হিরুধন দেব ও মিনা রানী দেবের একমাত্র ছেলে বিপ্লব। ১৯৭১-এ তার বাবা-মা ত্রিপুরা চলে যান। তারা সেখানেই স্থায়ী বাসিন্দা হন। বিপ্লবের অনেক আত্মীয়স্বজন কচুয়ায় বসবাস করছেন। তার চাচা প্রাণধন দেব কচুয়া উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি।

ধ্বংসাত্মক কাজে আওয়ামী লীগ জড়িত নয় বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কেউ কোনো ধ্বংসাত্মক কাজে জড়ায়নি। বিএনপির মতো মানুষ পুড়িয়ে, পিটিয়ে, কুপিয়ে হত্যা করেনি। বিএনপির কোনো কর্মসূচির কথা শুনলে মানুষ ভয় পায়।

সেখানে মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিয়াজউদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মলয় কুমার চক্রবর্তী, সাবেক পৌর মেয়র নুর-ই আলম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly

Related Posts