দাঁতের ব্যাকটেরিয়াল কলোনি

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ দাঁতে পোকা লাগা কথাটার সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। তবে দাঁতে তো আর সত্যিই পোকা লাগে না, এক্ষেত্রে যা হয় তা দাঁতের ক্ষয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘ডেন্টাল ক্যারিস’ বলা হয়ে থাকে।

ডেন্টাল ক্যারিসের পিছনে অনেক কারণই রয়েছে। জিনঘটিত কারণ থাকতে পারে, কার্বোহাইড্রেট, শর্করা জাতীয় খাবার বা চিটচিটে জাতীয় খাবার দীর্ঘদিন ধরে দাঁতের ফাঁকে অটকে থাকলে তাতে ব্যাকটেরিয়াল কলোনি তৈরি হয়। এরপর সেই ব্যাকটেরিয়াল টক্সিং ধীরে ধীরে দাঁতের উপরের অংশ কালো করে ফেলে।

এই সমস্যা এড়াতে হলে আঠালো জাতীয় কোনো খাবার পর আমাদেরকে ভালো করে মুখ ধুতে হবে, প্রতিদিন নিয়ম করে দু’বার দাঁত মাজতে হবে। এসব করা সত্বেও দাঁতে কালো ভাব লক্ষ করা গেলে তা বাড়ার আগেই আমাদেরকে দন্ত চিকিৎসককে দেখিয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

 দাঁতের ক্ষয়ের পাশাপাশি মাড়ির ক্ষয়ও আমাদেরকে বেশ ভোগায়। মাড়ির ক্ষয় আসলে একটি রোগ। এতে মাড়ি ক্ষয়ে নীচের দিকে নেমে যায় ও দাঁতের সংবেদনশীল অংশ ‘সিমেন্টম’ বাইরে বেরিয়ে আসে। এর জেরে দাঁতে শিরশিরানি অনুভূতি হয়ে থাকে। মাড়িতে কোনো সংক্রমণ হলে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া, মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

মাড়ি যাতে না ক্ষয়ে যায় সেজন্য দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শে সঠিক পদ্ধতিতে দাঁত মাজার পাশাপাশি মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে কাজে দেবে। বছরে অন্তত দুবার দন্ত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে দাঁত দেখানোর পাশাপাশি বছরে একবার স্কেলিং বা দাঁতের পাথর পরিষ্কার করিয়ে নিলে তা বেশ কাজে দেবে। পাশাপাশি, মাড়ির দাঁত তুলে ফেলেলে সেখানে অতি অবশ্যই নকল দাঁত বসানোর বন্দোবস্ত  করতে হবে।

Print Friendly

Related Posts