ধামরাইয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ইয়াবা খাইয়ে রাতভর ধর্ষণ

রাসেল হোসেন, ধামরাই: ঢাকার ধামরাইয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ইয়াবা ট্যাবলেট খাইয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার ধর্ষণে সহযোগীতা করায় রিমা আক্তারকে আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। তবে পুলিশ অপহরণ মামলার আসামী ধর্ষক দেবাশীষ চৌধুরীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাভারের গাজীর চট এলাকার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী শুক্রবার তার বান্ধবী ধামরাইয়ের কেলিয়া গ্রামের রিপন হোসেনের মেয়ে রিমা আক্তারের বাড়িতে বেড়াতে আসে। এরপর রিমা তার বন্ধু ধামরাইয়ের গাইরাকুল গ্রামের মৃত অধীর চৌধুরীর ছেলে দেবাশীষ চৌধুরীর কাছে নিয়ে যায়। এরপর দেবাশীষ তার মালিকানাধীন ধামরাইয়ের আইঙ্গণ এলাকার মেসার্স অর্ণব এন্টারপ্রাইজ নামে একটি গুদাম ঘরে আটকে রেখে ওই স্কুলছাত্রীকে ইয়াবা ট্যাবলেট খাইয়ে রাতভর ধর্ষণ করে।
গতকাল শনিবার স্বজনরা খবর পেয়ে ধর্ষিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ওই ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে শনিবার ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর ধামরাই থানা পুলিশ রিমা আক্তারকে আটক করেছে। তবে ধর্ষক দেবাশীষ চৌধুরী পালিয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধামরাই থানার উপ- পরিদর্শক এসআই কামাল হোসেন জানান, ধর্ষণে সহযোগিতা করার অপরাধে ওই ধর্ষিতার বান্ধবী রিমা আক্তারকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং মূল ধর্ষক দেবাশীষকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান, ধর্ষক দেবাশীষ নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে গত ৯ জুন আশুলিয়া থেকে জামাল হোসেন ও ফারুক হোসেন নামে দুই হোটেল ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়কালে ওই গুদাম ঘর থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। সম্প্রতি সে জামিনে এসে আবার এই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে।
Print Friendly

Related Posts