রাসেল হোসেন, ধামরাই : ঢাকার ধামরাইয়ে সূয়াপুর এলাকায় ৩য় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ এলাকাবাসী এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
বুধবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে সূয়াপুর বাজারে যুবকের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকানের ভিতর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষকের নাম মো: বাক্কর হোসেন (২৫)। সে ধামরাই উপজেলার ঈশান নগর গ্রামের মো: শামসুল হকের ছেলে ।
ধর্ষিতা সূয়াপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী। ধর্ষিতার মা বলেন, আমার মেয়ে তার নানা বাড়ি যাওয়ার সময় প্রচন্ড বৃষ্টি হলে বাজারে বক্করের দোকানে সামনে দাঁড়ালে, বাক্কর আমার মেয়েকে তার দোকানের ভিতর এসে বসতে বলে । প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে দোকানের ভিতর নিয়ে মেয়েকে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। আমার মেয়ের চিৎকার শুনে বাজারের বিভিন্ন দোকানদার ও আশপাশে লোকজন এসে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে । আমি আইনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
সূয়াপুর বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাজারের লোকজন বাক্করকে তার নিজ প্রতিষ্ঠানের ভিতর থেকে ৮-৯ বছরে এক মেয়েকে ধর্ষণ করার সময় আটক করে । আমরা বাক্করকে জিজ্ঞাস করলে সে আমাদের কে বলে আমাকে আপনারা বাচাঁন। পরে ছেলে ও মেয়েকে চেয়ারম্যানের কাছে দিয়ে দিয়েছি।
এব্যাপারে সূয়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব বলেন, আমি এক পর্যায় জানতে পারি যে বাজারে বাক্কর নামে দোকানদার এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের সময় বাজারের লোকজন তাকে হাতেনাতে আটক করেছে। আটক করার পর বাজারের লোকজন ইউনিয়ন কাউন্সিলে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে আসে । এ ধর্ষণের ঘটনার কোন বিচার করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় । তাই পুলিশে খবর দিয়ে বাক্কর ও স্কুলছাত্রীকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক এসআই ভজন রায় জানান, ধর্ষক বাক্করকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। ধর্ষিতার বাবা উমেশ বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।