বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ নকল ইলিশে কলকাতা সয়লাব, জানিয়েছে কলকাতার অনলাইন মিডিয়া। সেই ইলিশ পেয়েই নাকি তারা আত্মহারা। কম দামে ইলিশ খাচ্ছেন। মজাসে বানাচ্ছেন ইলিশ ভাপা, ইলিশের তেল।
অথচ সকলের অগোচরে যে মাছ ইলিশ বলে বিক্রি হচ্ছে আসলে তা ইলিশই নয়। আদতে তা উরুগুয়ের এক সামুদ্রিক মাছ। সেটাকেই অনেকে ইলিশ বলে চালিয়ে দিচ্ছেন।
আগস্টের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরে মাস পৌঁছে গেলে ইলিশ ওঠার পরিমাণ ধিরে ধিরে কমতে থাকে। ঠিক এই সময়েই দক্ষিণ আমেরিকা দেশ উরুগুয়ে থেকে একপ্রকার মাছ আসছে হাওড়া এবং কলকাতার বাজারে। পাইকারি বিক্রেতারা একে বিদেশের মাছ হিসাবে বিক্রি করলেও খুচরো ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষেত্রেই একে কম দামের খোকা ইলিশ হিসাবে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
বছর চারেক ধরেই চলছে এই ভুয়া ইলিশ কাণ্ড। যারা প্রকৃত মাছ চেনেন তারা চোখের দেখাতেই বুঝে যান। বেশিরভাগই ইলিশ ভেবে তা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর হাওড়া পাইকারি মাছ বাজার সূত্রের।
উরুগুয়ে থেকে আসা এই মাছের নাম আসলে শ্যাড মাছ। দেখতে রূপালী। আকৃতিতে ছোট। অনেকটা ইলিশের মতোই। একেই খুচরা বাজারে কিছু ব্যবসায়ী কম দামের ইলিশ বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, এই মাছ আসলে দক্ষিণ আমেরিকার মাছ। বছর চারেক আসছে। আমরা মার্কেটে এটাকে চকোরি মাছ বলি।
তিনি বলেন, এই মাছ এখন মধ্য প্রাচ্যের আরব, ওমান থেকেও আসছে। কিছু মাছ আবার এখন ভিয়েতনাম থেকেও আসে। আমরা সাধারণ বিদেশি সামুদ্রিক মাছ নামেই বিক্রি করি। বাইরে কে কিভাবে বিক্রি করছে তা বলা মুশকিল। তবে ইলিশের নামে যে শাড মাছ খাওয়ানো ঘটনা অনেক ব্যবসায়ীর জানা।
আগস্ট মাছের শেষ থেকেই বাজারে আসতে শুরু করে শ্যাড। (ভারতীয় মুদ্রায়) এর দাম ১২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা প্রতি কিলো। পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী সৈয়দ মাকসুদ বলেন, ইলিশ মাছ খুব ছোট হলেও সেটার দাম অন্তত ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি হবে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এই বছরে খোকা ইলিশ কম ধরা হয়েছে। তাই খুব কম দামে ইলিশ দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়। যদি কেউ ইলিশ ১৫০ টাকায় বিক্রি করে তাহলে নিঃসন্দেহে সেটা শ্যাড মাছ হবে।
স্বাভাবিক ভাবেই এর স্বাদ বিশেষ ভালো হয় না। কিন্তু অনেকেই ইলিশ ভেবে কিনে নিয়ে যান। সম্প্রতি খয়রা মাছকে ইলিশ বলে চালিয়ে দেওয়ার খবর মিলেছিল। তালিকায় নয়া সংযোজন দক্ষিণ আমেরিকার শ্যাড মাছ।