নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত হবে রোববার

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে গতকাল বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ কমিশন সদস্যরা।

বৈঠক শেষে বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে সিইসি জানান, আসছে ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আবার ওই দিনই জাতির উদ্দেশে ভাষণে তফসিল ঘোষণ দেয়া হবে।

সিইসি নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির বিস্তারিত অবহিত হয়ে প্রেসিডেন্ট সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আমরা আশা করছি সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তবে প্রেসিডেন্ট
নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বিতর্ক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

বঙ্গভবনে গতকাল বিকেলে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইসির ৫০ মিনিট বৈঠক হয়। এ সময় সিইসি কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে অপর চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেন, এটি জরুরি কোনো সাক্ষাৎ নয়। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এটি অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার। প্রেসিডেন্টকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। তফসিল নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে আমরা প্রস্তুত। প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছি আগামী ৭ দিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা যেতে পারে। তিনি আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট। তফসিলের ব্যাপারে আমরা ৪ তারিখে মিটিং করবো। সেদিন সিদ্ধান্ত হবে।

বৈঠকের পর প্রেসিডেন্টের সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, সাক্ষাতে ইসি একাদশ সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন। এসময় প্রেসিডেন্ট আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়, সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক প্রয়াস অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন।

তিনি আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট প্রযুক্তির ব্যাপকতায় এর অপব্যবহারের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে প্রযুক্তির অপব্যবহার সম্পর্কে ইসিকে সজাগ থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।

এদিকে আগামী ৩ নভেম্বর কমিশন বৈঠকে তফসিল নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়েছিলেন ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান। তবে ৪ নভেম্বরও আরেকটি বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্তের কথা সিইসি বলেছেন। এক্ষেত্রে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের পর জাতির উদ্দেশ্যে সিইসির ভাষণ রেকর্ড করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন। ওই ভাষণে তফসিল ঘোষণা হবে। ভাষণ ৪ নভেম্বর কিংবা তারপরে যে কোনোদিন সন্ধ্যায় প্রচার করা হতে পারে।

ইতোমধ্যেই নির্বাচন উপলক্ষ্যে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগুলোর বার্ষিক পরীক্ষা সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আবার খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতারা সিইসির সঙ্গে দেখা করে ২৫ ডিসেম্বর বড় দিনের আগেই নির্বাচন করার অনুরোধ জানিয়েছে।

Print Friendly

Related Posts