বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ দল ও জোট মিলিয়ে নৌকায় লড়বে ২৭২। তাদের মধ্যে ২৫৮ জন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী। বাকি ১৪টি আসন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের। তাদের বাইরে জোট শরিক জেপির ২ জন নিজস্ব প্রতীকে ভোট করবেন। এ হিসেবে ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা ভোটের জন্য পেয়েছে ৪২টি আসন।
তবে আওয়ামী লীগ আর ১৪ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোর প্রার্থীদের মিলিয়ে মোট ২৭২টি আসনে নৌকা মার্কায় ভোট হবে।
এদিকে মাত্র দু’টি আসনে জাতীয় পার্টির (জেপি) বাইসাইকেল প্রতীকে প্রার্থীরা অংশ নেবেন। অবশিষ্ট ২৬টি আসনে নৌকা প্রতীকে কোনো প্রার্থী থাকবে না। এ ২৬টি আসনে লাঙ্গল প্রতীকে লড়বেন মহাজোটের প্রার্থীরা। জাপা মহাসচিব রাঙ্গা জানিয়েছেন, মহাজোট তাদেরকে ২৯টি আসন বরাদ্দ দিয়েছে।
শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত পত্রে মহাজোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে-
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ঠাকুরগাঁও-৩: ইয়াসিন আলী, রাজশাহী-২: ফজলে হোসেন বাদশা, সাতক্ষীরা-১: অ্যাডভোকেট মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, বরিশাল-৩: টিপু সুলতান ও ঢাকা-৮ আসনে রাশেদ খান মেননকে নৌকা মার্কা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
জাসদের প্রার্থী বগুড়া-৪: একেএম রেজাউল করিম তানসেন, কুষ্টিয়া-২: আসনে হাসানুল হক ইনু, ফেনী-১: আসনে শিরীন আখতার।
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী লক্ষ্মীপুর-১: আনোয়ার হোসেন খান, চট্টগ্রাম-২: সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।
বাংলাদেশ জাসদের প্রার্থী চট্টগ্রাম-৮: মইনউদ্দীন খান বাদল
বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী মুন্সিগঞ্জ-১: মাহী বি চৌধুরী, মৌলভীবাজার-২: এম এম শাহীন ও লক্ষীপুর-৪: আব্দুল মান্নানকে নৌকা প্রতীক দিতে বলা হয়েছে।
আর জাতীয় পার্টি-জেপি’র প্রার্থী পিরোজপুর-২ আসনে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মো. রুহুল আমিনকে বাই সাইকেল প্রতীক দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় পার্টি জানিয়েছে, তাদের দলের প্রার্থীরা ২৯টি আসনে এককভাবে লড়বে।
ইসিতে আওয়ামী লীগের চিঠি অনুযায়ী, ২৬টি আসনে জাতীয় পার্টির কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট থেকে থাকবে না। যদিও জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকে মোট ১৭৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।