বিডিমেট্রোনিউজ॥ এবারও পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূল, বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় উন্মুক্ত অনুষ্ঠানগুলো বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখে মুখোশ পরা যাবে না। তবে তা হাতে নিয়ে প্ল্যাকার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ইভটিজিং প্রতিরোধে সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দেবেন। পহেলা বৈশাখের র্যালিতে বা অন্য স্থানে ইভটিজিং রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। এছাড়া উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান চলাকালে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল কাজ করবে।
পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠান রমনার বটমূলে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এদিন গোটা ঢাকা শহর ও বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত সব অনুষ্ঠানস্থল সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
নববর্ষ অনুষ্ঠানে আসার সময় সন্দেহজনক কোন সরঞ্জাম, বস্তু বা ব্যাগ এবং ম্যাটালিক্যাল কোন বস্তু বহন না করার জন্য দর্শনার্থীদের আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে তিনি এই নির্দেশ দেওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান।
মহা-পুলিশ পরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পটোয়ারী, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও র্যাবের মহা-পরিচালক বেনজীর আহম্মেদসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নিরাপত্তা সবার আগে। আমরা সব সময় বলে আসছি বাইরে এই ধরনের (নববর্ষের) অনুষ্ঠান করা যাবে না। হলরুমে কিংবা কনভেনশন হলে, কমিউনিটি সেন্টারে, বাসার ভেতরে অনুষ্ঠান করতে কোনো বাধা নেই। শুধু উন্মুক্ত স্থানে আমরা ৫টার পর বন্ধ করতে বলেছি। তবে শুধু ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবরে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চালাতে বাধা থাকবে না বলে জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রমনার বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশেপাশের এলাকায় পুলিশ ও র্যাবের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন এবং হেলিকপ্টার টহলের ব্যবস্থা করা হবে।
মঙ্গল শোভাযাত্রার নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়াও রাজধানীর পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও দু’টি শোভাযাত্রা বের হবে। এইগুলোরও নিরাপত্তা দেয়া হবে।