ফাইনালে ভারত ও মালদ্বীপ

শেষ চারে নেপালের বিপক্ষের সহজ জয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে পা রাখে মালদ্বীপ। নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে তারা।

ম্যাচের নবম মিনিটে দলকে গোলের সূচনা এনে দেন মালদ্বীপের ডিফেন্ডার আকরাম আব্দুল গনি। সমতায় ফিরতে এরপর অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেনি নেপাল।

অবশ্য নেপাল শুরু থেকেই ভালো খেলছিল। অধিকাংশ সময় বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণেও রেখেছিল তারা। তবে ফুটবল গোলের খেলা। বিরতির পর গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে নেপাল। কিন্তু তা তো পারেইনি বরং আরেকটি গোল হজম করে বসে তারা। তাদের  ডিফেন্সের ভুলে মালদ্বীপের ফরোয়ার্ড ইব্রাহিম ওয়াহেদ ম্যাচে ৮৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি নেপাল, তাই ম্যাচের শেষ মুহূর্তে আরেকটি গোল খেয়ে বসে তারা।

ম্যাচের ৮৬ মিনিটে মালদ্বীপের পক্ষে তৃতীয় গোল করেন ইব্রাহিম ওয়াহেদ। জটলা থেকে ডানপায়ের শটে বল জালে পাঠান তিনি।

মালদ্বীপ এ পর্যন্ত পাঁচবার ফাইনাল খেলার সুযোগ পেয়েছে। তার মধ্যে ১৯৯৭, ২০০৩ এবং ২০০৯ সালে মালদ্বীপ রানার্সআপ হলেও ২০০৮ সালে তারা ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

পাকিস্তানকে সহজেই ৩-১ গোলে হারিয়ে আসরে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে ওঠে ভারত।

আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে পূর্ণ প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে ভারত। তাই সাফল্যও পায় সাফে সবচেয়ে বেশিবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটি।

ম্যাচের ৪৮ মিনিটে ভারতকে প্রথমে গোলের সূচনা এনে দেন মানভির সিং। আশিক কুরুনিয়ানের গোলমুখে ক্রসে স্ট্রাইকার মানভির পা ছোঁয়ালেই বল ঠিকানা খুঁজে পায় পাকিস্তানের জালে (১-০)।

৬৯ মিনিটে ভারতের ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলটি করেন সেই মানভিরই। সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ান তিনি (২-০)।

৮৪ মিনিটে বদলি স্ট্রাইকার সুমিন পাসি ভারতের পক্ষে তৃতীয় গোল করেন। আর শেষ বাঁশি বাজার দুই মিনিট আগে পাকিস্তানের পক্ষে একটি গোল করে ব্যবধান কিছুটা কমান হাসান নাভেদ বশির ।

এ নিয়ে আসরে ১১ বার ফাইনালে উঠেছে ফেভারিট ভারত। তার মধ্যে সাতবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ১৯৯৩ সালে প্রথম সাফ চ্যাম্পিয়শিপে শিরোপা জিতে ভারত। এরপর ১৯৯৭, ১৯৯৯, ২০০৫, ২০০৯, ২০১১, ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা।

Print Friendly

Related Posts