বঙ্গবন্ধু কন্যার ৩৭তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ শেখ হাসিনা যখনই বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের সিঁড়িতে পা রেখেছিলেন তখনই বুঝে নিয়েছিলেন-‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু পথ’। তাঁর পথে পথে পাথর ছড়ানো ছিল। শুধু পাথর নয়; এক পর্যায়ে দেখা গেলো ‘পথে পথে গ্রেনেড ছড়ানো’-নির্মলেন্দু গুণ।

শেখ হাসিনার ৩৭তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। ১৯৮১ সালের এদিন ছয় বছরের দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন।বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন।

সেদিন বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে তাকে একনজর দেখার জন্য কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর পর্যন্ত এলাকাজুড়ে নামে লাখো জনতার ঢল। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।

শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত প্রায় ১৫ লাখ মানুষের হৃদয় ছোঁয়া ভালবাসার জবাবে তিনি এদিন বলেন, ‘বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য আমি দেশে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসাবে, মেয়ে হিসাবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।’

১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশে ফিরে এসেই তিনি গণতন্ত্রের জন্যে আজীবন সংগ্রামের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণী প্রদান করেছেন। বাণীতে তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের অব্যাহত সাফল্যসহ তাঁর নিজের ও পরিবারের সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু, সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ মাথাপিছু আয় বাড়ছে, কমছে দারিদ্র্যের হার। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ এগিয়ে চলেছে। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ একটি যুগান্তকারী ঘটনা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে তিনি ‘ভিশন ২০২১’ ও ‘ভিশন ২০৪১’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার এসব যুগান্তকারী কর্মসূচি বাংলার ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।

Print Friendly

Related Posts