বিটিসিএলের ওয়ার্কচার্জড, মাষ্টাররোল ও ক্যাজুয়েল কর্মচারীরা আন্দোলনে

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বিটিসিএল এ কর্মরত সকল ওয়ার্কচার্জড, মাষ্টাররোল ও ক্যাজুয়েল কর্মচারীরা বিটিসিএলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে (৩৭/ই, ইস্কাটন গার্ডেন, ঢাকা) শান্তিপূর্ণ ‘লাগাতার অবস্থান’ কর্মসূচী পালন করছেন।

৬ মে শুরুর দিনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্কচার্জড শ্রমিক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির। কর্মসূচী পরিচালনা করেন মাষ্টাররোল শ্রমিক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন তুহিন। বিটিসিএল এ স্থায়ী চাকরির দাবিতে ‘লাগাতার অবস্থান’ কর্মসূচীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ওয়ার্কচার্জড, মাষ্টাররোল ও ক্যাজুয়েল কেন্দ্রীয় কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ। তারা অনতিবিলম্বে দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

তারা জানান, বিটিসিএল এ কর্মরত ওয়ার্কচার্জড, মাষ্টাররোল ও ক্যাজুয়েল কর্মচারীদের আত্মীকরনের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ‘লাগাতার অবস্থান’ কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।

ওয়ার্কচার্জড, মাষ্টাররোল ও ক্যাজুয়েল কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ডি ও পত্র নং- ০৫.০০.০০০০.১১১.০৯.০১৪.১৭-৮৯৯ তারিখঃ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ খ্রিঃ, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পত্র নং- ১৪.০০.০০০০.০০১.১৬.০০৩.১৭-৩৯ তারিখঃ ১১ জানুয়ারি ২০১৮ খ্রিঃ এবং ৪ মার্চ ২০১৮ খ্রিঃ সচিব কমিটি বিটিসিএল এর শূন্যপদ পূরণের নির্দেশনা দিয়েছেন। বিটিসিএল পরিচালনা পর্ষদ ১৫ নভেম্বর ২০১৬ খ্রিঃ তারিখের মধ্যে অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম কার্যকর করার জন্য বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশনা দিয়েছেন। বিটিসিএল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের স্মারক নং- ১৪.৩৩.০০০০.০১৭.২৮.২০১.১২ (অংশ-১) তারিখঃ ২৪/০৯/২০১৭ খ্রিঃ মোতাবেক দীর্ঘ ২০/৩০ বৎসর যাবৎ কর্মরত প্রায় ৪,৩০০ (চার হাজার তিনশত) জন ওয়ার্কচার্জড ও মাষ্টাররোল কর্মচারীদের আত্মীকরণের নিমিত্তে প্রস্তাবনা দেয়া সত্ত্বেও অদ্যাবধি বাস্তবায়ন করা হয়নি।

এছাড়াও বিটিসিএল এ কর্মরত ক্যাজুয়েল কর্মচারীদের বিষয়ে পদক্ষেপের নির্দেশনা সত্বেও কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।

Print Friendly

Related Posts