বিপিএলে প্রথম সুপার ওভার

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বিপিএল শনিবারের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় খুলনা টাইটান্স ও চিটাগং ভাইকিংস। বিপিএলের ১১তম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে খুলনা নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করে। দারুণ নাটকীয়তার পর ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। বিপিএলের ইতিহাসে যা প্রথম। এই ম্যাচ হেরে টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা।

সুপার ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান ডেলপোর্ট। দ্বিতীয় বলে নেন ১ রান। তৃতীয় বলে আবারো বাউন্ডারি হাঁকানো রুব্বি ফ্রাইলিঙ্ক চতুর্থ বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। পঞ্চম এবং শেষ বলে ১টি করে রান দেন খুলনার হয়ে বল করা জুনায়েদ খান। সুপার ওভারে খুলনার টার্গেট দাঁড়ায় ১২ রান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলে এক রান করেন ব্র্যাথওয়েট। পরের বলেই চার হাঁকান মালান। এর পরের বলগুলো থেকে ২ রান নিলেও চতুর্থ বলেই রান আউট হয়ে ফেরেন ব্র্যাথওয়েট। শেষ পর্যন্ত চিটাগং পেলো এক রানের জয়।

এর আগে ১৫২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাত্র ২.২ ওভার উইকেটে থাকতে পেরেছেন চিটাগং ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ। দলীয় ১২ রানে জুনাইদ খানের বলে ১০ বলে ১০ রান করে ফেরেন এই আফগান।

আরেক ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্টের সঙ্গে মিলে বেশ ভালোই খেলছিলেন ইয়াসির আলী। কিন্তু ১৬ বলে ১৭ রান করে তাইজুল ইসলামের বলে কার্লোস ব্রাথওয়েটের হাতে ধরা পড়েন ডেলপোর্ট।

দারুণ হাত চালিয়ে খেলে দ্রুত রান তুলতে থাকেন তিনে নামা ইয়াসির আলী। চিটাগং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে বেশ কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়ে ৩৪ বলে ৪১ রান করে ফেরেন তিনি। ডেলপোর্টের মতোই সীমানায় সেই ব্রাথওয়েটের হাতেই ধরা পড়েন। এবারের বোলার শরিফুল ইসলাম।

বেশি সময় উইকেটে স্থায়ী হতে পারেননি জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটার সেকান্দার রাজা। মাত্র ৪ বল খেলে শূন্য রানে ব্রাথওয়েটের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ১২ বলে ১২ রান করে শরিফুলের বলে ফেরেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

মাত্র দুই রান যোগ হতে ফেরেন মুশফিকও। ব্রাথওয়েটের বলে আউট হয়ে ফেরার আগে ২৬ বলে ৩৪ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

খুলনার হয়ে দুটি করে উইকেট নেনে শরিফুল ইসলাম ও  ব্রাথওয়েট। আর একটি করে উইকেট নেন জুনায়েদ খান, আরিফুল হক ও তাইজুল ইসলাম।

শনিবার মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চিটাগং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

ব্যাটিংয়ের শুরুটা পল স্টার্লিং ও জুনায়েদ সিদ্দকী ভালো করলেও ধরে রাখতে পারেননি। দলীয় ৩১ রানে স্টার্লিং ব্যক্তিগত ১৮ রানে নাঈম হাসানের বলে বিদায় নেন। ১০ রানের বিরতির পর ফ্রাইলিঙ্কে কাটা পড়েন জুনায়েদ (২০)।

তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে হাল ধরেন ডেভিড মালান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই জুটিতে তারা ৭৭ রান তোলেন। দলীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান করে আবু জায়েদের বলে সিকান্দার রাজাকে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন মালান। ৪৩ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এই ইংলিশ তারকা। আর ৩১ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৩৩ রান করে সানজামুল ইসলামের বলে ফেরেন রিয়াদ।

চিটাগং বোলারদের মধ্যে সানজামুল ৪ ওভারে ৩৭ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন ফ্রাইলিঙ্ক, নাঈম, খালেদ আহমেদ ও আবু জায়েদ।

Print Friendly

Related Posts