বুনো শুয়োরের এই শহরে ॥ শাহ মতিন টিপু

 

বুনো শুয়োরের কথা পড়েছি বইয়ের পাতায়;

হতে পারে কোন রহস্য গল্পে কিন্তু দেখিনি,

দেখা হয়ে ওঠেনি- বুনো শুয়োরের সন্ধানে যাবার

সময় কোথায়?

তবে শুয়োর দেখেছি, শব্দও শুনেছি ঘোঁতঘোঁত।

প্রিয় দ্বীপ ভোলার খালপাড় ছুঁয়ে হেঁটে গেছি যতবার

ডোমপট্টির কাছে এলেই আড়চোখে দেখে নিয়েছি

শুয়োরের বিশ্রী বদন।

বারবারই মনে হয়েছে প্রাণীটি দেখতে বড়ই অসুন্দর

গায়ের গন্ধও থুতু এসে যাওয়ার মতো, তাই বলে

কখনো বমি করে ফেলিনি। অথচ এই প্রাণীটি

ডোমপট্টির মানুষেরা মজা করেই খায়, উৎসবেও মাতে।

কেমন করে খায় সে গল্প শুনতে শুনতে কাউকে কাউকে

পেটের ভাতও উগড়ে ফেলতে দেখেছি।

 

হায়রে শুয়োর, তোকে দেখলেও তোর গোত্রীয়

বুনো শুয়োর দেখার বাসনা আমার যায় না, যেতে চায় না।

বাসনারা যেন আলোর প্রতিসরণ পৃথিবীটা যেন আয়না।

বুনো শুয়োরেরা নাকি হিংস্র খুব, যেখানেই যায়

ভেঙেচুরে যায়, নর্দমা-ময়লার ভাগাড় দেখলেই

তাতেই ওরা গড়াগড়ি যায়- এমনই নাকি ওদের স্বভাব!

 

হঠাৎ আয়নায় পড়তেই চোখ, কথাশুনে তার আমি হতবাক-

এই শহরে নেই নাকি বুনো শুয়োরের কোনই অভাব!!

 

শাহ মতিন টিপু

৩ বৈশাখ, ১৪২৫

Print Friendly

Related Posts