ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে বিপাকে দুই পুলিশ সদস্য

জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় হাসেম আলী (২২) নামের এক দিনমজুরকে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে গণধোলাইয়ের হাত থেকে বেঁচে গেল এসআই মানিক মিয়া এবং কনস্টেবল জাহিদ নামের দুই পুলিশ সদস্য।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাইর উপজেলার ছোট কালিয়কৈর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুই ঘন্টা আটক থাকার পর থানা পুলিশ গিয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে সেখান থেকে উদ্ধার করে করে নিয়ে আসেন।

হাসেম আলী ও এলাকাবাসী জানায়,সিঙ্গাইর থানার এসআই মানিক ও কনস্টেবল জাহিদ একটি মোটর সাইকেলযোগে রাত ৮টার দিকে বলধরা ইউনিয়নের ছোট কালিয়াকৈর নতুন বাজারে ঔষুধ কিন্তে যায়। ঔষধ কিনে বাড়ী ফেরার পথে বন্ধুদের সাথে গল্প করছিল। এসময় হঠাৎ করে ওই দুই পুলিশ সদস্য হাসেমের লুঙ্গি এবং শার্ট ধরে টানাটানি করে। একপর্যায়ে হাসেমের পকেটে জোর করে কি যেন ঢুকিয়ে দেয়। এরপর পুলিশ সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। পরে হাসেম ও স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ প্রতিবাদ করে এবং এক পর্যায়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে প্রায় দুই ঘন্টা ঘেরাও করে রাখে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলীসহ বেশকয়েকজন উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন।

এসময় এলাকাবাসীর আরোও বলেন, স্থানীয় কিছু পুলিশের সোর্স পুলিশের সাথে যোগসাজশের মাধ্যমে এলাকার সাধারণ মানুষকে মাদকের মামলায় আটক করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।পরে পুলিশের সাথে এই টাকার ভাগ পায় ওই পুলিশের সোর্সরাও।

সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দুই পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে যায় এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে। কিন্তু পরে খোজ নিয়ে জানা যায় আটক ব্যক্তি একজন ভাল লোক। তথ্যদাতা পুলিশকে তার সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রদান করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

তিনি আরোও বলেন, খবর পয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। এলাকাবাসীর সাথে দুই ঘন্টা আলোচনার পর তিনি ওই দুই পুলিশ সদস্যকে এলাকাবাসীর হাত থেকে মুক্ত করে থানায় নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, নিরীহ লোককে যেই হয়রানি করুক সে পুলিশ বা সোর্স যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly

Related Posts