মানিকগঞ্জে প্রাণ ফিরে পেল পৌর শিশু পার্ক

অত্যাধুনিক পার্ক নির্মানের ঘোষনা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর

 

জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ: ১০ বছর পর প্রাণ ফিরে পেলো মানিকগঞ্জের জরাজীর্ণ মুক্তিযোদ্ধা পৌর শিশু পার্কটি।ঈদের পরের দিন  রবিবার সন্ধ্যায় নতুন সাজে সজ্জিত এই পার্কটির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ মালেক স্বপন।

মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিমের সভাপতিত্বে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, জেলা প্রশাসক মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মহীউদ্দীন, জজকোর্টের পিপি আব্দুস সালাম, সিভিল সার্জন ডা. খুরশীদ আলম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার তোবারক হোসেন লুডু, ডেপুটি কমান্ডার মমিন উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আফম সুলতানুল আজম খান আপেল, শিশু পার্ক সংস্কার ও উন্নয়ন কমিটির আহবায়ক, পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুভাষ সরকার, সদস্য-সচিব মোস্তাফিজুর রহমান মামুন, সদস্য-দীপক কুমার ঘোষ, আসলাম খান বাবু ও পৌরসভার ৩নং নারী সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাবিহা হাবিব প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. আতাউর রহমানের উদ্যোগে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে প্রায় এক একর জমির ওপর এই পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কয়েকটি রাইডার দিয়ে এর যাত্রা শুরু হলেও তার চলে যাওয়ার পর অযত্ন আর অবহেলায় এটি ব্যহারের অনুপযোগি হয়ে পড়ে।

এ অবস্থায় মানিকগঞ্জের নাগরিকদের দাবীর প্রেক্ষিতে গত বছরের অক্টোবর মাসে বর্তমান জেলা প্রশাসক মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম এবং পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম পার্কটির সংস্কার ও উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন কাজে পৌরসভাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এতে ব্যয় হয় প্রায় ২০ লাখ টাকা। এছাড়া পার্কের অভ্যন্তরে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২টি ল্যাট্রিন, ২টি ওয়াশ রুম এবং ১টি স্টোর রুম নির্মানাধীন রযেছে।

অভিভাবকরা নতুনভাবে সজ্জিত এ পার্কটিতে এসে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন । লুৎফর রহমান নামের এক অভিভাবক জানান,এমনিতেই দিন দিন খেলার মাঠ কমে গেছে। এ শিশু পার্কটি সে অভাব পূরন করবে।

আরেক অভিভাবক দেওয়ান মতিন বলেন, দীর্ঘদিন এ পার্কটি অযত্নে পড়ে ছিল। নতুনভাবে পার্কটি চালু হওয়ায় বিনোদনে এ জেলায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

নতুনসাজে সজ্জিত এই পার্কে আছে দোলনা, স্লিপারসহ নানা ধরণের খেলনা। আছে বাঘ, ভাল্লুক, হাতি, হরিণ, উট, ডাইনোসরসহ ১৪টি ভাস্কর্য। পার্কের ইলেকট্রিক ট্রেনে চড়তে ২০ টাকার টিকেট কাটতে হয়। তবে শিশুপার্কে প্রবেশে এবং অণ্যান্য রাইডে চড়তে কোন খরচ লাগে না।

Print Friendly

Related Posts