বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরে ঢাকায় তৃতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লাকে দুর্দান্তভাবে হারিয়েছে রাজশাহী কিংস। এ জয় শুধু রাজশাহী-কুমিল্লার মধ্যে সিমাবদ্ধ নয়, এ জয় মিরাজ-তামিমের অলিখিত লড়াই। দুজনই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত সদস্য। এ ম্যাচে তামিমরা ৩৮ রানে পরাজয় বরণ করেন মিরাজদের কাছে।
রাজশাহী টসে হেরে আগে ব্যাট করে ১৭৭ রানের টার্গেট দেয় কুমিল্লাকে। এর আগে কুমিল্লা ১৯০ রানের বেশি চেজ করেও জিতেছেন বিপিএলের এই আসরে। কিন্তু আজ এমন কী হয়েছে? ম্যাচ শেষে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ব্যাটসম্যান শামসুর জানালেন শেষের দিকে দ্রুত উইকেট হারানোর কারণেই হেরেছে কুমিল্লা। শামসুরের মতে তাদের ম্যাচটা শেষের দিকেই বের হয়ে গেছে। শেষের দিকে যখন তিন রানে চার উইকেট পড়ে যায় তখনই ম্যাচটা দূরে সরে যায়।
১১০ রান থেকে ১৩৮ রানের মধ্যে কুমিল্লা শেষ পাঁচ উইকেট হারায়। আরও ভেঙে বললে কুমিল্লা মাত্র তিন রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে বেশি বিপদে পড়ে। ডেথ ওভারগুলোয় ভয়ংকর খেলা থিসারা পেরেরাও আজ ব্যাট হাতে ব্যর্থ। প্রয়োজনীয় মুহুর্তে মাঠে এসেই ক্যাচ দিয়ে ০ রানে ফিরে যান সাজঘরে। এরপর আফ্রিদি সম্ভাবনা দেখালেও ১৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
শামসুর বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে এই রান অবশ্যই চেজ করা সম্ভব। তবে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। রাজশাহীর ক্রিকেটাররা ক্যালকুলেটলি ক্রিকেট খেলেছে। আমরা শেষের দিকে প্লেয়ার অনুযায়ী বোলিং করতে পারিনি। তাদের ১৫০ রানের মধ্যে আটকাতে পারলে কিছু একটা হতো।’
রাজশাহীর হয়ে মূলত কুমিল্লার ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে দিয়েছেন কামরুল হাসান রাব্বী। চার ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে নেন চার উইকেট। তবে মোস্তাফিজের অবদানও অনস্বীকার্য। ৩ ওভার ২ বলে করে মাত্র ৮ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নিয়েছেন। প্রতিপক্ষের বোলার কামরুলের প্রশংসা ঝরেছে শামসুরের কন্ঠে।
তিনি বলেন, ‘রাব্বি ও অলঅয়েজ ভালো বোলার। টেস্ট-ওয়ানডে সবই খেলেছে সে। টিমের যে সময়ে উইকেট দরকার তখনই সে ব্রেক থ্রু এনে দিচ্ছে। ওর কিছু প্ল্যান আছে। আমার মনে হয়, ওর কোচ এবং ওর প্ল্যানিংয়ের কম্বিনেশনটা খুবই চমৎকার। তা ছাড়া রাব্বির স্লোয়ার এবং ইয়র্কারগুলো ভালোভাবে কাজে দিচ্ছে। সে জন্যই সে ভালো করতে পারছে। টিমের জন্য ওর রোলটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে।’