মুশফিকের রেকর্ডগড়া ডাবল সেঞ্চুরি

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ আজ মিরপুরে জিম্বাবুয়ে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে আরেকটি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে দুটি দ্বিশতক করেছেন, আর বিশ্বের একমাত্র উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করেন তিনি।

টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয় লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ২০০৫ সালে। এর পর থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে পরিণত ব্যাটসম্যান হিসেবে গড়ে তুলেছেন মুশফিকুর রহিম। টেস্টে তাঁর বর্তমান ব্যাটিং গড় ৩৪.০২। তবে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের টেস্টে দ্বিশতকের নজির সৃষ্টি করেছেন তিনিই প্রথম। বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে গল টেস্টে।

সিরিজের প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ে বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সেই ম্যাচেও কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন মুশফিক। তবে সেই টেস্ট হারের পর সিরিজের হার এড়াতে মিরপুরে ভালো খেলার চাপ ছিল বাংলাদেশের ওপর।

অথচ দ্বিতীয় টেস্টেও টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। রানশূন্য আউট হন ইমরুল কায়েস এবং অভিষিক্ত মোহাম্মদ মিঠুন। দুই অঙ্কের রানের কোটা স্পর্শ না করেই আউট হন লিটন দাস। তখন চাপের মুখে দলকে টেনে তোলেন মুশফিক ও মুমিনুল হক। তবে প্রথম দিন শেষে দুজনেই শতক তুলে নিলেও মিরপুরে ২৬৬ রানের রেকর্ড জুটি ভাঙে ব্যক্তিগত ১৬১ রানে মুমিনুল বিদায় নিলে। দিনশেষে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ব্যক্তিগত ১১১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মুশফিক।

দ্বিতীয় দিনেও দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ৩৬ রানে ও আরিফুল ৪ রানে আউট হওয়ার পর মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে সফল জুটি গড়েন মুশফিক। এই জুটিতেই দ্বিশতক অর্জন করেন মুশফিক। ৪০৭ বল খেলে ২০০ রান করেন মুশফিক।

মুশফিকের প্রথম দ্বিশতকের পর ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে দ্বিশতক করেছেন তামিম। সর্বশেষ ২০১৭ সালে বাংলাদেশের হয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ২১৭ রান। এবার দলের প্রয়োজনে আবারও দ্বিশতক করে আস্থার প্রতিদান দিলেন মুশফিক। দলের প্রয়োজনের সময় রান করে নিজেকে মিস্টার ডিপেন্ডেবল হিসেবে প্রমাণ করেছেন মুশফিক। তাঁর দ্বিশতকে এবং মুমিনুলের শতকে ভর করেই রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ।

Print Friendly

Related Posts