মেরিনা সৈকতেই সমাহিত হলেন করুণানিধি, জয়ললিতার পাশে

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ মেরিনা সৈকতেই সমাহিত হলেন দ্রাবিড় রাজনীতির দীর্ঘপুরুষ মুথুভেল করুণানিধি। যাঁর হাত ধরে রাজনীতিতে আসা, সেই সি এন আন্নাদুরাইয়ের সমাধির পাশেই। ছ’দশক ধরে যাঁদের সঙ্গে চলেছে রাজনীতির লড়াই— সেই একদা বন্ধু এমজি রামচন্দ্রন আর কট্টর প্রতিদ্বন্দ্বী জয়ললিতাও রইলেন পাশে।

নিজেই লিখে রেখেছিলেন শেষশয্যার বার্তাটি। ধীরে ধীরে যখন নেমে গেল শবাধার, জ্বলজ্বল করছিল  ক’টি শব্দ, ‘‘কোনও দিন যিনি বিশ্রাম নেননি, তিনি এখানে বিশ্রামে।’’ ‘আপ্পা’ চোখের আড়াল হতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন এম কে স্ট্যালিন।

পরিবারের অনুরোধ ছিল, অন্ত্যেষ্টির জমি দেওয়া হোক মেরিনা বিচে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আন্নাদুরাইয়ের সমাধির পাশে। কিন্তু এডিএমকের পলানীস্বামী সরকার জানায়, সেটা সম্ভব নয়। আইনের বাধা আছে। জল গড়ায় মাদ্রাজ হাইকোর্টে। রাতেই চলে শুনানি। সৈকতে অন্ত্যেষ্টির বিরোধিতা করে যে জনস্বার্থ আর্জিগুলি জমা ছিল, তার সবই প্রত্যাহার করে নেন আবেদনকারীরা। এর পরেও বক্তব্য পেশের জন্য সময় চায় রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে ফের হয় শুনানি। শেষে জমি-রাজনীতিতে জল ঢেলে কোর্ট জানায়, বাধা নেই মেরিনায় অন্ত্যেষ্টিতে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এলেন হাইকোর্টের রায়ে ডিএমকে শিবিরে স্বস্তি ফেরার কিছু পরে। সঙ্গী নির্মলা সীতারামন ও বিজেপির অন্য নেতারা। সকালের আলো ফুটতে সপরিবার এসেছিলেন রজনীকান্ত। কমল হাসনও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে গিয়েছিলেন রাতেই। হাইকোর্টের মেরিনা-রায়কে স্বাগত জানান তিনি। সৈকতে করুণানিধির অন্ত্যেষ্টিতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের এক নেতা। ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও গুলাম নবি আজাদ-সহ দলের অন্য নেতারা।

Print Friendly

Related Posts