যেভাবে স্বপ্ন সফল হয়েছিল কঙ্গনার

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতেন অভিনেত্রী হওয়ার৷ টিনসেল টাউন যেন চুম্বকের মতো আকর্ষণ করত তাঁকে৷ আজ তিনি যে তাঁর লক্ষ্যে সফল তা বলাই যায়৷ তবে এ রাস্তা কিন্তু মোটেই সহজ ছিল না৷ আউটসাইডার হিসেবে যে কত কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তা বোধহয় কল্পনারও বাইরে৷ আজ সেই বলিউড কুইন কঙ্গনা রানাওয়াতের জন্মদিন৷

হিমাচল প্রদেশের ছোট্ট এক শহরের মেয়ে কঙ্গনা৷ অসংখ্য বাধা, বিপত্তি কাটিয়ে কীভাবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছলেন তা কেউ জানেন, কেউবা জানেন না৷ তবে খোলা বইয়ের মতোই কিন্তু জীবন তাঁর৷ সেলিব্রিটি বলে লুকিয়ে রাখেননি কোনও কথাই৷ নিজের জীবনের সমস্যার কথা জনসমক্ষে ব্যক্ত করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন বারেবারে৷ যে জায়গা তিনি অর্জন করেছেন সেখানে দাঁড়িয়ে যেকোনও সিনেমাকে একাই সাফল্যের পথ দেখানোর ক্ষমতা রাখেন৷

বলিউডের কুইনের জন্মদিনে এমন কিছু তথ্যে আপনাদের আলোকপাত করাবো যা হয়তো অনেকের কাছে অজানা৷

১) শোনা যায়, কঙ্গনা নাকি একটি ছবির জন্য ১১ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন৷

২) দেরাদুনে পড়াশোনার সময়ই তাঁর মধ্যে মডেলিং ও অভিনয়ে আগ্রহ বাড়তে থাকে৷ ঠিক করেন মু্ম্বই যাবেন৷ তবে বাধ সাধে তাঁর পরিবার৷ পরিবারের অমতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসেন স্বপ্নের শহর মুম্বইতে৷ তখন বয়স মাত্র ১৭ বছর৷ ওইটুকু বয়স থেকে শুরু হয়ে যায় স্ট্রাগল৷

৩) মুম্বইতে রোজ হাজার হাজার ছেলে মেয়ে আসে অভিনয় সুযোগ পাওয়ার আসায়৷ একই স্বপ্ন কঙ্গনারও ছিল৷ কিন্তু কখনও ভাবেনিন এক মাসের মধ্যে ‘গ্যাংস্টার’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পাবেন৷

৪) কিছু মেয়েদের সঙ্গে কোনও এক শ্যুটের জন্য বসেছিলেন৷ হঠাৎই একজন ভদ্রলোক এসে তাঁকে মহেশ ভাটের অফিসে নিয়ে যায়৷ সেখানে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় মোহিত সুরি ও অনুরাগ কাশ্যপের ৷ তখন চলছিল ‘গ্যাংস্টার’র অডিশন৷ অডিশনের দেওয়ার পর মোহিত ও অনুরাগের তাঁকে ‘সিমরান’র চরিত্রে একদম পারফেক্ট লাগলেও মহেশ ভাট সন্তুষ্ট হননি৷ তিনি আরও পরিণত অভিনেত্রী চাইছিলেন৷ তাঁর মতে তখন কঙ্গনা চরিত্রের জন্য বেশ অল্প বয়সী৷

৫) রিজেকশনের পর কঙ্গনা জানতে পারেন সিনেমায় শাইনি আহুজা রয়েছেন মূখ্য ভূমিকায়৷ বিপরীতে চিত্রাঙ্গদা সিং৷ পরবর্তীকালে চিত্রাঙ্গদার সঙ্গে কোন সমস্যা হওয়ায় ‘গ্যাংস্টার’র চরিত্রটি ফের চলে আসে কঙ্গনার ঝুলিতেই৷ এইভাবেই তিনি বলিউডের জগতে পা রাখেন৷

Print Friendly

Related Posts