রণবীরকে নাচিয়েই ছাড়লেন সোনাগাছির মেয়েরা

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ কত বড় দিন এসেছে কিন্তু কোনও দিন বড় হয়ে ওঠেনি ওদের কাছে। কখনও রাস্তায় বেরিয়ে হেনস্থা কখনও বা তথাকথিত সভ্যদের ট্যারাবাঁকা কথা শুনতে হয়েছে। কোনও মা ‘মেরী’ আসেনি ওদের দুঃখ মেটাতে। ওরা সোনাগাছির যৌনকর্মী সন্তান। বড় দিন না এলেও এই দিনটিকে নিজেদের প্রতিভায় বড় করে নিয়েছে তাঞ্জিলা, অভিজিৎ, চন্দ্রিকারা।

‘ইন্ডিয়া গট ট্যালেন্ট’ নামক রিয়েলিটি শো’য়ের মঞ্চে ওরা নাচিয়েই ছাড়লেন বলি সুপারস্টার রণবীর সিংকে।

কলকাতা অডিশন থেকে শুরু করে প্রায় এক মাস হয়ে গেল ‘কোমল গান্ধারের’ নৃত্য শিল্পীরা ওদের প্রতিভার পরিচয় দিয়ে এসেছে করণ জোহর, কিরণ খের, মালাইকা অরোরা মতো তাবড় বলি ব্যক্তিত্বদের সামনে। লড়াই করতে করতে ইতিমধ্যেই সেমিফাইনালের গণ্ডিতে পৌঁছে গিয়েছে। সামনেই ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন।

এমনই দিনে ওদের কাছে বার্তা আসে পৌঁছায় রণবীর সিং এবং টিম সিম্বা আসছেন তাদের ছবির প্রমোশনে। একদিকে পারফর্মেন্সের চাপ অন্যদিকে সামনে থাকবেন রণবীর সিংয়ের মতো স্বপ্নের নায়ক। ওরা চাপে ভেঙে পড়েনি। সমস্ত আশঙ্কাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ওরা আবারও ইন্ডিয়া গট ট্যালেন্টের মঞ্চ মাতিয়ে দেয়। সঙ্গে জয় কর নেন রণবীর সিংয়ের মন। তাদের সঙ্গে স্টেজে এসে পা মিলিয়ে যান রণবীর সিং।

komalgandhar

তাঞ্জিলা খাতুন জানিয়েছে, চাপ ছিল। সঙ্গে অনেক প্রত্যাশা। এতদূর আসার পর কখনই স্বপ্নকে স্টেজে ফেলে এসে রাখা যায় না। আমরা এমনিতেই অনেক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বড় হয়েছি। সমাজে প্রতি পদে আমাদের লড়তে হয় , প্রচুর খারাপ কথা শুনতে হয়। সেখানে রণবীর সিংয়ের সামনে পারফর্ম করা মানে একটা আবেগ কাজ করেই। কিন্তু আবেগকে বশ করে আমরা শুধু পারফর্মটা নিয়ে ভাবতে চেয়েছিলাম। সেটাই সাফল্য এনে দিয়েছে আবারও। রণবীরের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নেওয়াকে ওরা ‘বড় দিন’ বলে মনে করছে যা ওরা নিজের দক্ষতায় তৈরি করেছে।

তাঞ্জিলা আরো জানিয়েছে, রণবীর যেমন ভালো অভিনেতা তেমন ভালো ড্যান্সার। উনি যখন আমাদের সঙ্গে নাচলেন সেই অনুভূতিটা সেই মুহূর্তে কিছু মনে হয়নি। পড়ে সবাই যখন আমাদের রুমে চলে এসেছি তখন একটা আলাদারকম অনুভূতি হচ্ছিল। এটা বলে বোঝানোর মতো নয়। একটা অন্যরকম অনুভূতি। সঙ্গে ছিলেন ছবিতে রণভীরের সহঅভিনেত্রী সারা আলি খান এবং পরিচালক রোহিত শেট্টি।

প্রত্যেককে সামনে থেকে দেখার আনন্দটাই আলাদা বলে জানাল সন্দীপ , পায়েল সানিরা।

ওদের আশা খুব, শেষ পাঁচে অর্থাৎ ফাইনালেও জায়গা করে নেবে দুর্বারের শাখা ‘কোমলগান্ধার’। চলছে জোর কদমে প্র্যাকটিস। কিন্তু মাঝে মাঝেই চোখের সামনে ভেসে উঠছে সেই ‘বড়দিন’টা।

সূত্র:কলকাতা২৪

Print Friendly

Related Posts