রোজায় ওয়ালটনের শতাধিক মডেলের হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস

লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি বিক্রির প্রত্যাশা

 

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ দেশীয় প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন শিল্পের বিকাশে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস বা গৃহস্থালী পণ্য। ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। এরই ধারাবাহিকতায় রমজান মাসে ঘরকন্যার কাজ আরো সহজ ও নির্ঝঞ্জাট করতে ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে শতাধিক মডেলের হোম এ্যাপ্লায়েন্স বা গৃহস্থালী পণ্য।

সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চ গুণগতমান ও বৈচিত্র্যময় সর্বাধিক মডেলের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস বাজারে আনায় গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়ালটন। গত রমজান মাসের তুলনায় এবারের রমজানে ইতোমধ্যে ৩০ শতাংশেরও বেশি হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস বিক্রি হয়েছে দেশীয় এই প্রতিষ্ঠানটির।

হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের বাজার প্রবণতা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে রমজান মাসে পোশাকের পাশাপাশি হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেসের বিক্রিও বাড়ছে। মূলত, এই সময়ে ঈদ বোনাস বাবদ বাড়তি টাকা থাকে চাকুরিজীবীদের হাতে। তাই, ঈদে নতুন জামা-কাপড়ের পাশাপাশি ঘরের জন্য নতুন নতুন হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস কেনার প্রবণতাও বেড়েছে ব্যাপকহারে। ফলে, রমজান মাসে বিভিন্ন প্রকার গৃহস্থালি পণ্যের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। এই বাড়তি চাহিদার সিংহভাগ পূরণ করতেই সাশ্রয়ী মূল্যের উচ্চ গুণগতমানের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস বাজারে এনেছে ওয়ালটন।

ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের প্রোডাক্ট ম্যানেজার মাশরুর হাসান জানান, গত রমজান মাসের চেয়ে এবার ৩০ শতাংশ বেশি হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস বিক্রির টার্গেট নেয়া হয়েছিল। তবে, সাশ্রয়ী মূল্য ও নতুন নতুন মডেলের হোম অ্যাপ্লায়েেেন্সস বাজারে ছাড়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি বিক্রি হচ্ছে। বিক্রির বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকলে প্রবৃদ্ধি ৪০ শতাংশের বেশি হবে বলে আশা করছি।

for-new

ওয়ালটন সূত্রমতে, স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের রয়েছে প্রায় ৩০ ধরনের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস। রঙ, বৈচিত্র, ডিজাইন এবং আকারভেদে এসব পণ্যের রয়েছে শতাধিক মডেল। এর মধ্যে ইলেকট্রনিক্স অ্যাপ্লায়েন্সেস রয়েছে এয়ার কুলার, ওয়াশিং মেশিন, ব্লেন্ডার ও জুসার, মিক্সার ও বিটার, আয়রন, ইলেকট্রিক রাইস কুকার, ইলেকট্রিক ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন, গ্যাস স্টোভ, ইনডাকশন কুকার, প্রেসার কুকার, এয়ার ফ্রায়ার, রুটি মেকার, টোস্টার, কেক ও স্যান্ডউইচ মেকার, ভ্যাকুয়াম ফ্লাক্স, ইলেকট্রিক কেটলি, ওয়াটার পিউরিফায়ার ও ডিসপেন্সার, হেয়ার ড্রায়ার ও স্ট্রেইটনার, কিচেন কুকওয়্যার, রিচার্জেবল ল্যাম্প ও টর্চ, ইলেকট্রিক লাঞ্চ বক্স, কফি মেকার, ওয়াটার হিটার, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ও আইপিএস।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে রমজানের শুরুতেই বেশিরভাগ পণ্যের নতুন মডেল বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। নতুন মডেলের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের মধ্যে এসেছে ৫ মডেলের ব্লেন্ডার ও জুসার, ৪ মডেলের মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ১ মডেলের ওয়াশিং মেশিন, ১ মডেলের মপ সেট, ৫ মডেলের প্রেসার কুকার, ১২ মডেলের রাইস কুকার, ২ মডেলের ইলেকট্রিক কেটলি ও ৬ মডেলের ডাবল বার্নার গ্যাস স্টোভ। এছাড়া, দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে ওয়ালটনই সর্বপ্রথম স্থানীয় বাজারে নিয়ে এসেছে স্ট্যান্ড স্টিম আয়রন। সুদৃশ্য ডিজাইনের মাল্টি-ফাংশনাল এই আয়রন বিদেশি ব্র্যান্ডের চেয়ে দামেও অনেক সাশ্রয়ী।

সিলিং- দেয়াল- টেবিল ও রিচার্জেবল ফ্যানের মতো ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেসেও বৈত্র্যিময় কালার ও ডিজাইনের নতুন মডেলের পণ্য বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন।

জানা গেছে, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশন এ ইন্টারন্যাশনাল ইলেক্ট্রোটেকনিক্যাল কমিশন (আইআইসি) এবং জাপানিজ ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস। ওয়ালটনের এসব পণ্য মানের দিক থেকে অনেক উন্নত। বৈচিত্র্যময় ডিজাইন এবং দামেও সাশ্রয়ী। ফলে, অল্প দিনের মধ্যেই গ্রাহকদের মন জয় করে নিয়েছে ওয়ালটনের গৃহস্থালী পণ্য।

ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্স বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এ বছর গরম তুলনামূলক বেশি থাকায় ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এয়ার কুলার, সিলিং ফ্যান, দেয়াল ফ্যান, টেবিল ও রিচার্জেবল ফ্যানের চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে আশাতীত। রোজার শুরু থেকেই বাজারে ওয়ালটন ব্লেন্ডার ও জুসারের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। এদিকে ওয়ালটনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফাংশনের  ওয়াশিং মেশিনের বিক্রিতে দেখা যাচ্ছে আশানুরুপ প্রবৃদ্ধি।

শহরাঞ্চলে চাহিদা বেড়েছে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের রাইস কুকার, কেক মেকার, স্যান্ডউইচ মেকার, ডোনাট মেকার, মপ সেটসহ অন্যান্য হোম অ্যাপ্লায়েন্সের। সব মিলিয়ে, চলতি বছর গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস।

উল্লেখ্য, আইএসও স্ট্যান্ডার্ড সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় দেশব্যাপী ৭০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ওয়ালটন। এর বাইরে ৩০০টিরও বেশি সার্ভিস পয়েন্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি।

Print Friendly

Related Posts