শিক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য সেবার আমূল পরিবর্তন দরকার

আবুল কাশেম চৌধুরী

মানসম্মত ও সুশিক্ষা বাংলাদেশের অভিধানে নেই। শিক্ষা শিক্ষিত- শব্দ দুটি একে অপরটির সঙ্গে জড়িত কিন্তু প্রকৃত নৈতিক শিক্ষা বাংলাদেশ থেকে উবে গেছে বিজয়ের পর পর। মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করে ভাল ও সৎ হওয়ার জন্য নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ হয়ে নিজেকে ও দেশকে সেবা করবে বলে। দুর্ভাগ্য বাঙালী জাতি শিক্ষা গ্রহণ করে অসৎ হয়ে মিথ্যচার ও প্রতারণা করার জন্য। শিক্ষিত মানুষদের মাঝে সৎ ও ভাল মানুষ খুঁজে পাওয়া দুরুহ ব্যাপার।

যত বড় শিক্ষিত তত বড় ফন্দিবাজ। শিক্ষা ব্যবস্থায় গোড়ায় গলদ। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সৎ ভাল শিক্ষিত মানুষ তৈরী করেনা, তৈরী হয় অসৎ, দুর্নীতিবাজ, মিথ্যুক, প্রতারক, অকৃতজ্ঞ, যা শিক্ষার সঙ্গে মানায় না। আদালতের বিচারকের সই জাল করে আসামীকে জেল থেকে বের করে নেয় শিক্ষিত নরপিশাচেরা। ডাক্তার ভুল চিকিৎসা করে রোগী মারে, গাদা গাদা ঔষধ লিখে রোগীদের ভোগান্তি বাড়ায়। এক ঔষধ ভিন্ন ভিন্ন নামে লিখে ঔষধ কোম্পানির কাছ থকে কমিশন খায়। ডাক্তারি টেষ্ট বিভিন্ন লেবরেটেরিতে ভিন্ন ভিন্ন রিপোর্ট হয়। রোগীদের কাছ থেকে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেয়। ল্যাবগুলো আর চিকিৎসকরা কমিশন পায়। সিংহভাগ চিকিৎসক মানুষ মারার কারিগর।

বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে কিন্তু স্বাধীন জাতির চরিত্র অর্জন করতে পারেনি। অসততা দুর্নীতি ও মিথ্যাচার প্রতারণা শিক্ষিত মানুষের বাহন। মিথ্যা ও অসততা ছাড়া কোন কাজ চলেনা লেখাপড়া জানা মানুষদের। বাংলাদেশে শিক্ষিতরা সাধারণ মানুষকে অসৎ পথ দেখিয়ে দেয়। বাংলাদেশ কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছে না। মিথ্যাচর, অসততায় যথার্থ উন্নতি করা সম্ভব হয়নি শিক্ষিত মানুষের দুর্নীতির কারণে। অনৈতিকতা শিক্ষিত মানুষের অন্যতম দিক্ষা।

কোচিং সেন্টার,গাইড বই, নোট বইয়ের মালিক শিক্ষিত সমাজ। আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে মূলশিক্ষা থেকে দূরে রাখে নোট বইয়ের ও কোচিংএর মালিক। বিদ্যা অর্জনের শিক্ষা থেকে দূরে রাখে শিক্ষার্থীদেরকে, পরীক্ষা পাস সহজ করে দেয়। ফলে ডিগ্রি অর্জন করলেও বাস্তব জীবনে অজ্ঞই থেকে যায় আমাদের সন্তানেরা এবং চাকুরে হওয়ার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়ার চেষ্টা করে। কর্মজীবনে প্রবেশ করে দুর্নীতিবাজ হওয়া ছাড়া আর কোন পথ খোলা থাকেনা। -তাই সে শিক্ষার মূল্য কি?।

সরকার বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান করে শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতি ঘটিয়েছে। বিনামূল্যে যা পাওয়া যায় তার কোন কদর থাকেনা। বিনামূল্যে বই পেতে পারে হত দরিদ্ররা, সকলে নয়। শিক্ষিত সমাজ পুকুর-সাগর চুরি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লোপাট হয়, সোনা তামা হয়ে যায় -কারা করে শিক্ষিতরা। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লা চুরি করে কে? ব্যাংকের টাকা ঋণখেলাপী নামে লোপাট করে কে? হলমার্ক, বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, বিসমিল্লাহ গ্রুপসহ অর্থ কেলেঙ্কারি করল কে? শিক্ষিত মানুষেরা।

সাবেক শিক্ষা সচিব এন আই খান বলেন, সচিবালয়ে বড় কর্তারা কাজ করেনা, ঘুরে বেড়ায়, গাড়ি বাড়ি করে- কেউ কিছু বলে না। যারা কাজ করেন তারা বাধার সম্মুখীন হন। রাঘব বোয়ালেরা দুর্নীতি করে ধরা পড়ে না। মেঘা প্রকল্প থেকে কোটি কোটি টাকা লোপাট হয়। সরকারি প্রায় কাজ নিম্নমানের অথচ অর্থ খরচ হয় যথেষ্ট। জনগণ সুফল পায়না। শিক্ষিত মানুষরা সিংহভাগ ঘুষ দুর্নীতি অপকর্মে লিপ্ত। মানসম্মত ও সুশিক্ষার অভাবেই এই অবস্থা। শিক্ষিত মানুষেরা অধ্যাপক, বুদ্ধিজীবী, সচিব, সামরিক-বেসামরিক আমলা সকলেই অকৃতজ্ঞ বিবেকহীন। সৎ ও ভাল, কৃতজ্ঞ, বিবেকবান কিছু শিক্ষিত মানুষ আছে তাদের সংখ্যা অতিনগণ্য,তারা জাতিকে সেবা দিতে পারছে না, অসৎ লোকেরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বলে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় উন্নয়নে এক মহাপ্রাণ নিবেদিত মানুষ। প্রায় প্রকল্পে পুকুর চুরি হচ্ছে সুকৌশলে চোরেরা মহাভদ্রলোক ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে। হায়রে বাংলাদেশের শিক্ষিত মানুষ? দলীয় নেতা-কর্মীরা কোন অংশে কম নয় দুর্নীতি ও চাঁদাবাজিতে। বঙ্গবন্ধুর নিদের্শিত ত্যাগের রাজনীতি আজ অবলুপ্ত, শিক্ষিত দেশপ্রেমিক নেতাকর্মীর বড় অভাব। দুহাতে লুট করা যেন তাদের শিক্ষা-সততা-নিষ্ঠা-একাগ্রতা। সত্য, ন্যায়সাধনা, দুর্নীতিমুক্ত হওয়া, দেশপ্রেমিকতা একবারে উবে গেছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার কৃষক শ্রমিক দুর্নীতি করেনা। দুর্নীতি করে শিক্ষিত সমাজ যারা গরিবের ঘামঝরা পয়সা দিয়ে লেখাপড়া করে শিক্ষিত হয়েছে।

শিক্ষায় গোড়ায় গলদ। মূলশিক্ষা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিতে হবে। যোগ্যতা সম্পন্ন প্রশিক্ষিত দক্ষ শিক্ষক প্রাইমারি ও মাধ্যমিকে দিতে হবে। বছরের প্রথমে বই প্রদান ব্যবস্থা বন্ধ করে দিতে হবে। বইয়ের অর্থ দিয়ে প্রশিক্ষিত দক্ষ শিক্ষক পাঠশালায় দিতে হবে। পাঠক্রম শ্রেণিকক্ষে সমাপ্ত করতে হবে। কোচিং-গাইড বই ও নোটবই বন্ধ করে দিতে হবে আইন করে।
২ আগস্ট’১৮ গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে মনোযোগী নয়। (সূত্র বিভিন্ন টেলিভিশন)। শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষে মনোযোগী হবেন কেন? শিক্ষকেরা যা বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন তার চেয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের অফিসের পিয়ন অনেক বেশী বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন, তা হলে শিক্ষক মনোযোগী হবে কেন? তারপরে দক্ষতার প্রশ্ন জড়িত।

যথাযথ প্রশিক্ষণ নেই। বর্তমানে যে বেতন পান শিক্ষকেরা তা দিয়ে সংসার চলেনা, তারা বাড়তি আয়ের জন্য দৌড়ঝাপ করবেনই। বাংলাদেশতো অনেক উন্নতি করেছে দুর্নীতির ভিতর থেকেও। শিক্ষিতরা দুর্নীতিমুক্ত হলে দেশ আরো উন্নতি করতে পারতো। এ অবস্থায় শিক্ষায় যথাযথ বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। দুর্নীতি মুক্ত, নৈতিকতা সম্পন্ন, শিক্ষিত সমাজ গড়ে তুলতে পারলে উন্নয়ন হবে যথার্থ। ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়ার জন্য কেউ দৌড়ঝাপ করবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উন্নয়নের কথা বলতে হবেনা। সৎ ন্যায়পরায়ণ, দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষিত মানুষ জনগণের চাহিদা। যে শিক্ষায় চোর, দুর্নীতিবাজ, মিথ্যাবাদি প্রতারক তৈরী করে, সে শিক্ষার প্রয়োজন নেই। সুশিক্ষিত মানুষ করা দরকার শিক্ষার্থীদেরকে অমানুষ করা নয়। তবেই মুক্তিযুদ্ধের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।

প্রধানমন্ত্রী জাতিকে যথাযথ উন্নয়ন দিতে চান কিন্তু দেশবাসী উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত, সর্বত্র দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা। যথাযথ উন্নয়ন কোথাও হয়নি আইনের শাসনের অভাবে। আইনের শাসন দ্বারা দুর্নীতির মূল উৎপাটন করতে হবে।

আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা একেবারে নাজুক। ডাক্তাদের সিংহভাগ দায়িত্বজ্ঞানহীন। নিজেদের স্বাথ-অর্থ ছাড়া আর কিছু-বোঝেনা। ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসার কারণে অনেক রোগী পঙ্গু হয়ে যায় এবং কারো কারো জীবনের অবসান ঘটে।

আমার ছেলে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। গত ১৮জুলাই তার কর্মস্থলে জ্বরে আক্রান্ত হলে তার সহকর্মীরা তাকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। দেখি জ্বর অনেক বেশী। বাসার সামনে একজন ডাক্তার বসেন বক্ষব্যাধি হাসপাতালে কর্মরত। ডাক্তার রোগী দেখে একগাদা ঔষধ লিখে দিলেন। ২ দিনে রোগের উপসম হল না বরং বেড়ে গেল। তৎক্ষনাৎ অন্য ডাক্তারের কাছে যাই। সেই ডাক্তার বললেন, চিকিৎসাপত্র যথার্থ হয়নি। চিকিৎসাপ্রত্রের ঔষধ বন্ধ করতে বললেন। আমি সন্দেহমুক্ত হতে পারলাম না। রাত ১১টায় ৩য় ডাক্তারের কাছে যাই। ৩য় ডাক্তার ২য় ডাক্তারের সঙ্গে সহমত পোষণ করলেন। আরো বললেন প্রথম ডাক্তারের ঔষধে ক্ষতি করেছে। ইতিমধ্যে বারবার নানা টেষ্ট দেওয়া হয়েছে। মেডিনোভায় টেষ্ট করালাম রিপোর্ট যথার্থ হল না। রোগ নির্ণয় হল না। তাতে আরো ক্ষতি হল। টাকাও গেল। দুর্ভাগ্য রোগীর রোগ উপসম হচ্ছে না দেখে ২ ডাক্তার বললেন, আমাদের চিকিৎসার বাইরে আপনি একজন বড় নামকরা ডাক্তার দেখান। কিছু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নাম বলেছেন দুজনে। আমি সরাসরি বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ কিছু টেস্ট দেয়। সে টেস্টে ডেঙ্গুজ্বর নিশ্চিত করা হয়। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল এর ডাক্তাদের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করি ছেলেকে।

এ এক বিড়াম্বনা! ছেলেকে ভর্তি করালাম যেন সমুদ্রের মাঝে নিজেদেরকে সঁপে দিলাম। পেয়িংবেড নিলাম। বেড দেওয়ার মালিক ওয়ার্ডকর্মচারী- কতৃপক্ষ নয়। কর্মচারী বলল, এই বেড খালি এই বেডে থাকতে পারেন- বেডের ভাড়া ২৭৫ টাকা। নিলে নিন, না হয় রোগীকে বাইরে রাখেন কারো কথা চলবে না। কর্মচারীকে টাকা দিলাম বেড নিলাম। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পেয়িংবেডের ভাড়া ২৫০ টাকা। পরিবেশও উন্নত। বিছানা পেলাম, চাদর পেলাম, বালিশ পেলাম না। বালিশ আনতে হবে, এটা কেমন কথা? সব হাসপাতালে বিছানার সঙ্গে রোগীকে বালিশ দেওয়া হয়। কিন্তু ঢাকা মেডিকেলে বালিশ দেওয়া হয়না। রোগীকে-বালিশ ছাড়া বিছানা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে প্রশাসনিক কোন কার্যক্রম নেই।

পরের দিন বেডভাড়া বাবদ ব্যাংকে টাকা জমা দিলাম। রোগী ছাড় দেওয়ার পর বেডভাড়া বাবদ অগ্রিম নেওয়া টাকা রোগীকে ফেরৎ দেওয়া হল না। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তরেরা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পরিবেশ নোংরা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার লোকের বড় অভাব। টয়লেট ব্যবহারের উপযোগী নয়। পানি দুষিত। নানা অনিয়মে ভরা (মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হিসাবে কোন প্রকার সুবিধা পাইনি)। বিছানায় খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়না ঢাকা মেডিকেলে। অন্য হাসাপাতালে তা নয়। বারান্দায় গিয়ে লাইন ধরে খাওয়া নিতে হবে রোগীকে ঢাকা মেডিকেলে। ৪ হাজারের বেশী রোগী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি থাকে বলে জানা গেছে। বহিরাগত রোগীতো আছেই। রোগীদের সেবার প্রয়োজনে কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা বাড়ানো অতি প্রয়োজন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেদিকে নজর দেয়া উচিৎ।

দুঃখজনক হল কোন প্রকার টেস্ট ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে করা যায় না। যে কোন রোগী যাওয়া মাত্র ডাক্তার নানা টেষ্ট দিয়ে থাকেন। সে সব টেস্ট বাইরে থেকে করতে হয় রোগীদেরকে। ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করে জানা গেল টেস্ট করার যন্ত্রপাতি ও মেশিন মানসম্মত নয়, টেস্টের রিপোর্ট মানসম্মত হয়না। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে টেস্ট করা হলে রোগীর চিকিৎসা মানসম্মত হবেনা। রোগী ক্ষতিগ্রস্থ হবে।রোগীদের ভোগান্তিও বাড়বে। বাইরের ল্যাবের লোকেরা ঘুর ঘুর করতে থাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। রোগীদের কাড়ি কাড়ি টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে মানসম্মত টেস্ট না থাকার ফলে। মানসম্মত টেস্ট ব্যবস্থা থাকলে সে টাকা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের আয় হত। যেমন বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে হয়ে থাকে। রোগীদের টাকাও সাশ্রয় হত। এবং সহসা টেষ্টের রিপোর্ট পাওয়া যেত। রোগীদের চিকিৎসাও হত ভাল। এমনকি রোগীদের ওজন মাপার যন্ত্রটিও অচল। সেবিকারা বলেন, আামদের কিছু করনীয় নেই। সেবিকারা বলেন, বারবার বলা সত্ত্বেও কতৃপক্ষ ওজন মাপার মেশিন দেয়না।

সাধারণ রোগীদের একমাত্র ভরসাস্থল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ। সরকারি সকল হাসপাতালের এ ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি রয়েছে বলে অভিযোগ আছে তা দূরিকরণে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। রোগীরা বড় আশা নিয়ে হাসপাতালে আসে চিকিৎসা নিতে। হয়রানি হবে কেন। রোগীদের প্রতি যত্নশীল হওয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। সারাদেশের সকল হাসপাতালে একই অবস্থা বিরাজমান বলে জানা গেছে। রোগীদের সেবা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। রোগীর সেবায় কার্যকর ব্যবস্থা জনগণের চাহিদা। মন্ত্রী মহোদয়েরা অনেক কথা বলেন কাজ হয় কতটুকু? মন্ত্রী মহোদয়ের কথা ও কাজে মিল থাকা দরকার।

আবুল কাশেম চৌধুরী: প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল।
quashemchy@gmail. com

Print Friendly

Related Posts