নিজস্ব প্রতিবেদক: অপেক্ষা কেবল ঈদের চাঁদের। চাঁদ দেখার পরই ঈদের আনন্দে মেতে উঠবে দেশ। মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। জামা-কাপড়, কসমেটিকস’র পর এবার জমে উঠেছে ফ্রিজের বাজার। ঈদের আগের ঘন্টাগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব উচ্চ গুণগতমানের ফ্রিজ কিনতে বেশিরভাগ ক্রেতাই ছুটছেন দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের শোরুমে। বিক্রি হচ্ছে আশাতীত।
ওয়ালটনের ফ্রিজ সেলস বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের প্রায় ১২০ মডেলের ফ্রিজ। রোজা এবং ঈদ উপলক্ষে তারা বাজারে এনেছে নতুন ৫৫ মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট ও ডিপ ফ্রিজ। এর মধ্যে রয়েছে সবার্ধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ৪১ টি ফ্রস্ট ও ৮ টি নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর। ডিপ ফ্রিজে নতুন এসেছে ৬ টি মডেল।
ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মডেল এসেছে মজবুত টেম্পারড গ্লাস ডোরের রেফ্রিজারেটর। চোখ ধাঁধানো ডিজাইন ও কালারে ১৬ টি নতুন মডেলের গ্লাস ডোর ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে এখন হট কেক। এগুলোর দাম ২৪ হাজার ৫’শ টাকা থেকে ৩৬ হাজার ৮’শ টাকা পর্যন্ত।
জানা গেছে, আয়োনাইজার প্রযুক্তির সংযোজন, ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার কম্প্রেসারের ব্যবহার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট যুক্তকরণ, এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির পাশাপাশি কম্প্রেসারে দশ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি সুবিধা, উচ্চ গুণগতমান, সাশ্রয়ী মূল্য ও শতাধিক মডেল থাকায় গ্রাহক পছন্দের শীর্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ।
ক্রেতাদের জন্য ওয়ালটন ফ্রিজে চলছে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন অফার। ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই মিলছে ফ্রিজ, টিভি অথবা এসি সম্পূর্ণ ফ্রি কিম্বা আমেরিকা ও রাশিয়া ভ্রমনের সুযোগ। ওইসব সুবিধা না পেলেও থাকছে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। ওয়ালটন প্লাজাগুলোতে রয়েছে সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা। বিএসটিআই’র ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিংসম্পন্ন ওয়ালটন ফ্রিজ স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী করে উচ্চ প্রযুক্তিতে দেশেই তৈরি হচ্ছে।
ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম জানান, রোজায় প্রতিবছরই ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রি অনেক বেড়ে যায়। তবে এবার রোজা এবং ঈদের পাশাপাশি ভ্যাপসা গরম চলছে বলে ফ্রিজের চাহিদা গতবারের চেয়ে বেশি। এই বাড়তি চাহিদার বিষয়টি পূর্বানুমান করে রোজায় দুই লাখের মত ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছিল ওয়ালটন। যা গত বছরের রমজান মাসের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে রোজার শুরুতেই অর্ধ-শতাধিক নতুন মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট ও ডিপ ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হয়েছে। ডিজাইন ও কালারে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। রমজানের শুরু থেকেই ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রি বেশ ভালো।
তবে, ঈদের আগমুহুর্তে বিক্রি বেড়েছে উল্লেখযোগ্যহারে। আশা করছি ঈদ শেষে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফ্রিজ বিক্রি হবে।
ওয়ালটন সূত্র জানায়, ছোট পরিবার কিম্বা ব্যাচেলরদের ব্যাবহার উপযোগী ৫০ লিটার ও ১০৭ লিটার ধারণক্ষমতার দুটি নতুন মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে তারা। দাম ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৯’শ ও ১৪ হাজার ২’শ টাকা। এসেছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিং’ সনদ প্রাপ্ত ২৫৪ লিটারের ফ্রস্ট ফ্রিজ।
ওয়ালটনের ২১ ধরনের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে নতুন যুক্ত হয়েছে ৮ টি মডেল। এর মধ্যে আছে তিন-দরজা বিশিষ্ট ৪৫৫ লিটার ও ৪৫২ লিটারের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির দুটি নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর। আরো আছে সাইড বাই সাইড বা পাশাপাশি দুই দরজা’র ৫০১ লিটারের রেফ্রিজারেটর, ৩২৮ লিটারের ডিজিটাল ডিসপ্লে ও ফাইভ স্টার সনদ প্রাপ্ত ৩২৮ লিটারের দুটি নতুন মডেলের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর।
ওয়ালটন ব্র্যান্ডের রয়েছে ১৪ মডেলের ডিপ ফ্রিজ বা ফ্রিজার। এগুলোর দাম পড়ছে ১৯ হাজার ৪’শ থেকে ৩১ হাজার ২৯০ টাকা পর্যন্ত। নতুন এসেছে ডিপ ফ্রিজের ৬ টি মডেল। সবমিলিয়ে আপকামিং এর তালিকায় রয়েছে ২৯ টি মডেলের ফ্রিজ।
ফ্রিজ গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার জানান, ওয়ালটন ফ্রিজের দরজায় ব্যবহার করা হয়েছে ৯-লেয়্যার ভিসিএম ডোর। এর ফলে সহজে মরিচা ও দাগ পড়ে না। ডোর হয় দীর্ঘস্থায়ী এবং উজ্জ্বল।
নিজস্ব কারখানায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ। এসব ফ্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্ব স্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট। আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজের মান নিশ্চিত করেই
বাজারে ছাড়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে উচ্চ গুণগতমান সম্পন্ন ওয়ালটন ফ্রিজ। সম্প্রতি, বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মত ফ্রিজে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ রপ্তানিও শুরু করেছে ওয়ালটন।
আইএসও সনদ প্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় দ্রুত সর্বোত্তম সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ওয়ালটন। সারাদেশে ৭০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টার চালু রয়েছে। বিক্রয়োত্তর সেবায় গ্রাহকদের হোম সার্ভিস দিচ্ছে ওয়ালটন। গ্রাহকরা যেকোন মোবাইল থেকে ১৬২৬৭ নম্বরে কল দিয়ে বছরের ৩৬৫ দিনই পাচ্ছেন কাঙ্খিত সেবা। তথ্য প্রাপ্তির পর গ্রাহকের বাড়িতে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে সার্ভিস প্রোভাইডার। ওয়ালটনের এই সেবা এরইমধ্যে গ্রাহকমহলে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে।