সেই সাব-রেজিস্ট্রার এখন নিয়মিত অফিস করেন

পাবনা প্রতিনিধি : ঘুষের টাকাসহ সাব-রেজিস্ট্রার ইশরাত জাহানকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছিল পাবনা দুদক সমন্বিত কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় দলিল লেখক আশরাফুল আলমকেও (৩২)।
পরে এই দুজনকে আদালতে হাজির করা হলে পাবনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আবদুল বাছেত মো. বুলু ইশরাত জাহানের জামিন মঞ্জুর করেন। এ ঘটনার পর থেকেই সাব-রেজিস্ট্রার ইশরাত জাহান আটঘরিয়ায় নিয়মিত অফিস করছেন।

দুদকের দাবি, দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার দিন থেকেই অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তা চাকরিতে সাময়িক বরখাস্ত হবেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট খন্দকার জাহিদ রানা বলেন, দুদকের মামলা জামিন অযোগ্য। তারপরও বিচারক জামিন দিতে পারেন।

আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আকরাম আলী দুদকের মামলার কথা স্বীকার করে জানান, ১০ জুলাই থেকে সাব-রেজিস্ট্রার ইশরাত জাহান নিয়মিত অফিস করছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ইশরাত জাহানের বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলার খলিলপুর আমিরাবাদ বড়ুরিয়া গ্রামে। তিনি আটঘরিয়া উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার।

গত ১০ জুলাই ঘুষ নেয়ার সময় টাকাসহ হাতেনাতে তাকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।পরে এ ব্যাপারে ওই দিনই দুদকের পাবনা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক গোলাম মওলা বাদী হয়ে ইশরাত ও আশরাফুলকে আসামি করে আটঘরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

গোলাম মওলা বলেন, আটঘরিয়া উপজেলার ৪টি দলিল অবৈধভাবে রেজিস্ট্রির জন্য ইশরাত জাহান দলিল লেখক আশরাফুল আলমের মাধ্যমে ১৪ হাজার টাকা ঘুষ নেয়। এ সময় দুদকের টিম ঘুষের টাকাসহ সাব-রেজিস্ট্রারকে আটক করে।

সেসময় দুদক সমন্বিত কার্যালয় পাবনার উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক জানান, জমির খাজনা-খারিজ করে দেয়ার নামে দীর্ঘদিন ধরে সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা নিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে আসছিলেন সাব-রেজিস্ট্রার ইশরাত জাহান।

Print Friendly

Related Posts