হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগের নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন

এমপি মাহবুব আলী ও তার ভাইকে কমিটি থেকে খারিজের সিদ্ধান্ত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মাহবুব আলী ও তার ভাই সাবেক পিপি এডভোকেট ফজলে আলীকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে খারিজের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কমিটির সভায় দীর্ঘদিন যাবৎ অনুপস্থিত থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ লক্ষে দলের গঠনতন্ত্রের ২২ এর ছ ধারা অনুযায়ী কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করা হবে। ২ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি’র সঞ্চালনায় সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।

আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরীকে আহবায়ক এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট লুৎফুর রহমান তালুকদারকে সদস্য সচিব করে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির যুগ্ম আহবায়করা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পিপি এডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ আলী আরব আলী, মোহাম্মদ আলী টিপু, শেখ সামছুল হক, এডভোকেট আবুল ফজল, শরীফ উল্লাহ, এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, মুকুল আচার্য্য ও আব্দুল কাদির চৌধুরী।

সদস্যরা হলেন, সজীব আলী, এডভোকেট মনোয়ার আলী, এডভোকেট আফীল উদ্দিন, এডভোকেট কুতুব উদ্দিন শাহ, মোঃ আলমগীর খান, এডভোকেট আতাউর রহমান, এডভোকেট হুমায়ুন কবীর সৈকত, এডভোকেট আব্দুল মোছাব্বির বকুল, এডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান, রফিক আহমেদ, এডভোকেট সুলতান মাহমুদ ও নজমুল হক।

পাশাপাশি নির্বাচনে দলীয় এজেন্ট এবং কর্মীদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ৮ জন মাস্টার টে্রইনার এর নাম চূড়ান্ত করা হয়। এরা হলেন- এডভোকেট মনোয়ার আলী, এডভোকেট কুতুব উদ্দিন শাহ, তজম্মুল হক চৌধুরী, এডভোকেট হুমায়ুন কবীর সৈকত, এডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান, এডভোকেট সুমঙ্গল দাশ সুমন, এডভোকেট সুলতান মাহমুদ ও নজমুল হক।

সভায় বিগত পৌর নির্বাচনে হবিগঞ্জ পৌরসভায় দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মেয়র পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানকে পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বপদে বহালের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় উপস্থিত হয়ে মিজানুর রহমান মিজান তার এই কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে দলের সিদ্ধান্ত মেনে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

সভার শুরুতে জেল হত্যায় নিহত নেতৃবৃন্দ এবং সাম্প্রতিক সময়ে নিহত আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের স্মরণে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ সামছুল হক, এডভোকেট আবুল ফজল, শরীফ উল্লাহ, এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, আব্দুল কাদির চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সালেহ আহমেদ, এডভোকেট লুৎফুর রহমান তালুকদার, মর্তুজা হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সজিব আলী, এডভোকেট আফীল উদ্দিন, এডভোকেট কুতব উদ্দিন শাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, সেলিম চৌধুরী, এডভোকেট হুমায়ুন কবীর সৈকত, এডভোকেট আতাউর রহমান, অনুপ কুমার দেব মনা, মোঃ আলমগীর খান, জমিলা বেগম, এডভোকেট আব্দুল মোছাব্বির বকুল, এডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান, সদস্য শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী, রফিক আহমেদ, এডভোকেট সৈয়দ আফজাল আলী দুদু, এডভোকেট সুলতান মাহমুদ, আব্দুর রহিম, এডভোকেট সুমঙ্গল দাশ সুমন, নজমুল হক, শঙ্খ শুভ্র রায়, এডভোকেট কনক জ্যোতি সেন রাজু, এডভোকেট আব্দুল মোনতাকিম চৌধুরী খোকন, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট এম আকবর হোসেইন জিতু, মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ মোঃ মুসলিম, বাহুবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার আলী প্রমুখ।

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট লুৎফুর রহমান জানান, এমপি এডভোকেট মাহবুব আলী ও তার ভাই এডভোকেট ফজলে আলী বিগত ৫ বছর যাবত জেলা আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত হননি। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরপর ৩ সভায় না আসলেই সদস্য পদ বাতিল হওয়ার বিধান রয়েছে। এছাড়াও সভায় দলের বিরুদ্ধে তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরে আলোচনা হয়।

Print Friendly

Related Posts