হাইকোর্টের রুল, জাবির তিন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত

মুহাম্মদ মূসা, জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) তিন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের সব কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিভাগ তিনটি হল প্রত্নতত্ত্ব, সরকার ও রাজনীতি এবং চারুকলা বিভাগ। এসব বিভাগে ছয় মাসের জন্য শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে।

একইসাথে জাবি’র জারি করা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট থেকে রুল জারি করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সভাপতিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।

গত বছরের ৮ নভেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে দুটি, সরকার ও রাজনীতি বিভাগে দুটি এবং চারুকলা বিভাগে একটি পদে প্রভাষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় ক্ষেত্রে সনাতন পদ্ধতিতে প্রথম বিভাগ ও গ্রেডিং পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য শাখায় জিপিএ ৪.২৫ এবং মানবিক শাখায় জিপিএ ৪.০০ থাকতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু ২০১০ সালের ২ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে জিপিএ ৩.০০ বা তদূর্ধ্বকে সনাতন পদ্ধতির প্রথম বিভাগ উল্লেখ করে সামঞ্জস্য বিধান করা হয়। মন্ত্রণালয়ের সেই প্রজ্ঞাপন না মেনে জাবি কর্তৃপক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, রিটে যা বেআইনি বলে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে, ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতা প্রমাণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং অনার্স ও মাস্টার্সে ভালো ফল থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র এসএসসি ও এইচএসসিতে উল্লিখিত পরিমাণ জিপিএ না থাকার কারণে অনেকেই জাবি’র তিনটি বিভাগে প্রভাষক পদে আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।

পরে তাদের মধ্যে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী গাজী ইব্রাহিম আল মামুন ও মো. শহিদুল ইসলাম জাবি’র ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

Print Friendly

Related Posts