হায়দরাবাদকে হারিয়ে আইপিএলের ফাইনালে ধোনির দল

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ দু’ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে আইপিএল মঞ্চে ফিরল চেন্নাই সুপার কিংস৷ রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে একাদশ আইপিএলের ফাইনালে ধোনির দল৷

ওয়াংখেড়ে মঙ্গলবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে ১৪০ রান তাড়া করে ফাইনালের টিকিট ছিনিয়ে নিল ধোনিরা৷ অল্প রান হলেও দারুণ ফাইট দিলেন সানরাইজার্স বোলাররা৷ এক সময় ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে চলে এসেছিল হায়দরাবাদ৷ কিন্তু ফ্যাফ ডু’প্লেসির দুরন্ত ব্যাটিংয়ে লড়াই জিতে রবিবার এখানেই ফাইনাল খেলতে নামবে চেন্নাই৷

শুক্রবার ইডেনে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলতে নামবে সানরাইজার্স৷ প্রতিপক্ষ বুধবার কলকাতা-রাজস্থান ম্যাচের বিজয়ী৷

এর আগে টস জিতে এদিন সানরাইজার্সকে ব্যাট করতে পাঠান সিএসকে ক্যাপ্টেন৷ প্রথম বলেই শিখর ধাওয়ানের স্টাম্প ছিটকে দেন দীপক চাহার৷ শুধু তাই নয়, নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় সানরাইজার্স৷ মাত্র ৬৯ রানে পাঁচ উইকেট হারায় তারা৷ শেষ দিকে একা লড়াই করে দলের স্কোর ভাল জায়গায় পৌঁছে দেন কার্লোস ব্রাথওয়েট৷ ২৯ বলে চার ছ্ক্কায় ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ব্রাথওয়েট৷ ক্যারিবিয়ান অল-রাউন্ডারের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটে ১৩৯ রান তোলে সানরাইজার্স৷

উত্তেজনার পারদ চড়ানো ম্যাচে সানরাইজার্সের ১৪০ রানের টার্গেট ফর্মে থাকা চেন্নাই ব্যাটসম্যানদের জন্য খুব একটা সমস্যার কারণ হবে না বলেই মনে হয়নি৷ কিন্তু সমস্ত হিসেব নিকেশ বদলে দেন সানরাইজার্সের শক্তিশালী বোলিং লাইন-আপ৷

রশিদ খান, ভুবনেশ্বর কুমার , সিদ্ধার্থ কল, সাকিব আল হাসনের মত বোলারদের নিয়ে চলতি আইপিএলে সেরা বোলিং লাইন-আপ সানরাইজার্সের৷ কল-ভুবনেশ্বর জুটিতে প্রথম দু’ওভারেই ম্যাচ হায়দরাবাদের দিকে ঝুঁকিয়ে দেন৷ প্রথম ওভারেই ফর্মে থাকা চেন্নাই ওপেনার ওয়াটসনকে শূন্য রানে ফেরান ভুবনেশ্বর৷ পরে ২২ রানে ‘টি-টোয়েন্টির ব্র্যাডম্যান’ রায়নাকে ডাগ-আউটের রাস্তা দেখান কল৷ পরের বলেই চেন্নাইয়ে ব্যাটিং স্কোয়াডের সেরা ফর্মে থাকা রায়ডুকে আউট করে ধোনিদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন সানরাইজর্সের এই তরুণ বোলার৷

তবে প্রথম ওভার বল করতে এসে চেন্নাইকে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দেন সানরাইজার্সের সেরা স্পিন অস্ত্র রশিদ খান৷ আফগান স্পিনারের ভেল্কিতে ৯ রানে বোল্ড হন মহেন্দ্র সিং ধোনি৷ অধিনায়ক ডাগ-আউটে ফেরার পর ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারায় কিংসব্রিগেড৷ একমাত্র লড়াই করেন ওপেনার ফ্যাফ ডু’প্লেসি৷ শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ৬৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন ডু’প্লেসি৷ পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে অপ্রত্যাতিশ জয় এনে দেন সুপার কিংসের এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান৷ ১৯ নম্বর ওভারে তিন বলে দু’টি চারের সঙ্গে মোট নয় রান করে ধোনিদের জয়ের রাস্তা সহজ করেন শার্দুল ঠাকুর৷ শেষ ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে চেন্নাইকে ফাইনালে তোলেন ডু’প্লেসি৷

এর আগে ১০ বছরে পাঁচবার প্লে-অফের যোগ্যতাঅর্জন করেছিল সিএসকে৷ এর মধ্যে মাত্র একবার ফাইনালে উঠতে পারেনি ধোনিরা৷ এ নিয়ে ছ’বারের মধ্যে পাাঁচবারই ফাইনালের ছাড়পত্র জোগাড় নিল ধোনিবিগ্রেড৷

 

Print Friendly

Related Posts