সাবধান, নতুন মারণ নেশা `ম্যাজিক মাশরুম’

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বড়সড় মাদক পাচার চক্রের পর্দা ফাঁস করল নারকোটিক্স বিভাগ৷ শহরে ম্যাজিক মাশরুম পাচারের অভিযোগে তিনজনকে জালে পুরেছে নারকোটিক্স অফিসাররা৷ ধৃতদের মধ্যে একজন পেশায় ডিজে৷ নাম দীপ চক্রবর্ত্তী৷ বাকিরা হল বিবেক শর্মা ও তার আত্মীয় ঋষভ শর্মা৷ পূর্বাঞ্চলে ম্যাজিক মাশরুম পাচারের ঘটনায় এটাই প্রথম গ্রেফতারি৷

ম্যাজিক মাশরুম৷ নাম শুনে অনেকেরই ভ্রু কুঁচকে যেতে পারে৷ কিন্তু যারা মাদক সেবন করেন তারা জানেন এই ম্যাজিক মাশরুমের কি নেশা৷ এটি আসলে হার্বাল ছত্রাক৷ এর মধ্যে সিলোসিবিন নামে রাসায়নিক উপাদান থাকে৷ যা সেবন করলে চরম নেশার ঘোরে চলে যায় মানুষ৷ এই ছত্রাককে শুকিয়ে নিয়ে তারপর ব্যবহার করা হয়৷

কলকাতায় এর আগে বিভিন্ন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ কিন্তু ম্যাজিক মাশরুম পাচারের ঘটনা এই প্রথম সামনে এল৷ ধৃতদের জেরা করে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এরাজ্যে ম্যাজিক মাশরুম পাচার শুরু করে তিন যুবক৷ খুব সন্তর্পণে তারা পাচারের জাল বিস্তার করে কলকাতায়৷ কিভাবে?

এক নারকোটিক্স কর্তা জানিয়েছেন, মাদক আমদানির কাজ করত বিবেক ও তার আত্মীয় ঋষভ৷ এর জন্য তারা বিশেষ সফটওয়ার ব্যবহার করত৷ মোবাইলে টর সফটওয়ারের মারফত চলত মাদক কেনা বেচা৷ ডিল ফাইনাল হলে বিটকয়েন দিয়ে ম্যাজিক মাশরুম কেনা হত৷

মাদক কেনার পর তা ক্লায়েন্টদের হাতে তুলে দিত দীপ৷ পেশায় ডিজে দীপের বিভিন্ন হাই প্রোফাইল পার্টিতে যাতায়াত ছিল৷ সেই সূত্রকে কাজে লাগাতে চেয়েছিল বিবিএ গ্র্যাজুয়েট বিবেক৷ কারণ এই ধরনের মাদকের দাম হয় প্রচুর৷ সবার এই মাদক কেনার ক্ষমতা নেই৷ তাই টার্গেট করা হত হাইপ্রোফাইল ক্লায়েন্টদের৷ বিভিন্ন ডিজে পার্টিতে ক্লায়েন্টদের হাতে এই মাদক তুলে দিত দীপ৷ এই ক্লায়েন্টদের তালিকায় রয়েছে হাই সোসাইটির কলেজ পড়ুয়ারা, ব্যবসায়ী ও টলি পাড়ার সেলেবরাও৷ এমনটাই প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ৷

শনিবার বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে আলিপুর থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে হয়েছে৷

Print Friendly

Related Posts