কষ্টের জীবন ছেড়ে চলে গেল সাতক্ষীরার মুক্তামনি

মুক্তামনির বাবা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, গত কয়দিন ধরেই তো অবস্থা খারাপ হচ্ছিল। আজ ভোরে বমি শুরু হল। একবার পানি খেতে চাইল। ওর দাদি গেল পানি আনতে। পানি আনতে আনতে সব শেষ।  মুক্তামনির মৃত্যুতে তার বাড়িতে এখন শুধু কান্নার রোল। মা আসমা খাতুনের কিছু বলার ভাষাও আর নেই।

গত কিছুদিনে মুক্তামনির অবস্থার অবনতি হয়।  হাতের ক্ষতস্থানে আবারও পচনের লক্ষণ দেখা যায়,সেই সঙ্গে জ্বর। অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়ে যায় যে দাঁড়ানোর মত শক্তিও মেয়েটির ছিল না।

ইব্রাহিম হোসেন জানান, তিনি আবার ঢাকা মেডিকেলে যোগাযোগ করেছিলেন, চিকিৎসকরা ঈদের পর মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় যেতে বলেছিলেন। কিন্তু তার আগেই সব ছেড়ে চলে গেল মুক্তামনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর হইচই পড়ে মুক্তা মনিকে নিয়ে। প্রথমে স্বাস্থ্য সচিব তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। পরে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এরপর ১১ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে মুক্তা মনির চিকিৎসায় গঠিত হয় বোর্ড। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ধরা পড়ে হাতে রক্তনালীর টিউমার। তারপর কয়েক দফা অস্ত্রপচার শেষে গত ২২ ডিসেম্বর এক মাসের ছুটিতে বাড়ি আনা হয় মুক্তা মনিকে। এরপর আর ঢামেকে যেতে রাজি হয়নি মুক্তা মনি।

Print Friendly

Related Posts