জাহিদুল ইসলাম, ভোলা: শেষ মূহূর্তে জমজমাট হয়ে উঠছেে ভোলার পশুরহাটগুলো। ভোলা সদরে পশুর হাটগুলোর মধ্যে ইলিশা বাজার, পরানগঞ্জ বাজার, গোডাউন বাজার, ভেদুরিয়া বাজার, ভেলুমিয়া বাজার, আলীনগর বাজারসহ ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫টি বাজারে গরুর বিক্রি করা হচ্ছে।
কয়েকটি হাটে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাটগুলোতে প্রাধান্য পাচ্ছে দেশীয় গুরু। দেড় মন ওজনের দেশী ছোট গরু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। দুই মন ওজনের গরু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। আর বড় সাইজের তিন খেকে সাড়ে তিন মন ওজনের গরু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
অন্যদিকে গতবারের তুলনায় এবারে ছাগলের দাম একটু বেশী। ১২ থেকে ১৪ কেজি ওজনের ছাগলের দাম ধরা হচ্ছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। ১৫ থেকে ১৮ কেজি ওজনের ছাগলের দাম ধরা হচ্ছে ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা। ২০ থেকে ২৫ কেজি ওজনের ছাগলের দাম ধরা হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা।
হাটে আসা কবির ফরাজি বলেন, গত বারের তুলনায় এবারের দেশী গরুর দাম অনেকটা বেশী। পশু খাদ্যের দাম ও পরিবহন খরচের অযুহাতে বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে। ফলে আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এতো টাকা দিয়ে গরু কিনা আমার মনে হয় সম্ভব হবে না।
তবে বিক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা, তারা বলছেন দৈনন্দিন সব কিছুর দাম বাড়ছে। পশু খাদ্যে বস্তা প্রতি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। পশুর খাদ্যে, ঔষধ, পরিবহন খরচ সব মিলিয়ে আমরা গরু বিক্রির দাম নির্ধারন করছি। আমাদেরওতো চলতে হবে, তা না হলে আমাদের যে না খেয়ে মরতে হবে।
হাটের ইজারাদাররা জানান, হাটে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত দেশী গরু উঠেছে। তারা বলেছেন গরুর দাম সাধারন মানুষের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। গরুর দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে হাটের বলেন শুরুর দিকের তুলনায় শেষের দিকে গরুর দামটা সাধারন মানুষের নাগালের মধ্যে চলে আসবে।