এক খন্ড খাস জমি নিয়ে..

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরে এক খন্ড খাস জমির মালিকানা দাবী করছেন এলাকার দুই পক্ষ। এর মধ্যে এক পক্ষ সরকারের দেয়া বন্দোবস্তে, অন্য পক্ষ ক্রয়সুত্রে দাবীদার। কে ওই জমির প্রকৃত মালিক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এলাকাবাসির মধ্যে।

এই জমির মালিক বাংলাদেশ সরকার। ১৯৫০ সালের জমিদারী উচ্ছেদ এবং ৮১ ধারা মোতাবেক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যা ভুমিহীনদের মাঝে দেয়া হয়। খাস জমি বন্দবস্ত সুত্রে ১০-০৯-১৯৭৪ ইং তারিখে-১১৭৩০/৭৪ নং দলিল মুলে ছামছদ্দিন মোল্ল্যা, পিতা-তাহের উদ্দিন মোল্ল্যা কে দেয়া হয়। জমির পরিমাণ ১.১৯ শতক। তাঁর মৃত্যুতে বর্তমানে ওই জমির মালিক দাবীদার লতিফ মোল্ল্যা, মৃত লুৎফর মোল্ল্যা, আজিজুল মোল্ল্যা, শহিদুল মোল্ল্যা, মাইনদ্দিন মোল্ল্যা, রমজান আলী মোল্ল্যা, মনোয়ারা বেগম, জাহানারা বেগম, মমতাজ বেগম, রমেলা বেগম, হিয়ানুর, মিলন হোসেন, শাহাদৎ হোসেন, হালিমা খাতুন, আমেনা খাতুন।

কথা হয় রমজান আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, সরকার আমার পিতাকে বন্দবস্ত দেয়ার পর ৬/৭ বছর দখলে ছিলাম। এরপর বজলুর রহমান ও কওসার উদ্দিন মার ধর করে আমার পিতাকে উচ্ছেদ করে দেয়। এরপর তারা ১৯৮১ সালে জাল দলিল করে দখল করে আসছিল। ১৮-০২-১৮ তারিখে আমরা দখলে গেলে তারা পুলিশ দিয়ে আমাদেরকে উচ্ছেদ করে দেন।

অন্যদিকে, ক্রয় সুত্রে মালিকানা দাবী করছেন বজলুর রহমানের ছেলে মনিরুজ্জামান, আক্তারুজ্জামান, শাহিনুরজ্জামান, তুহিনুজ্জামান, আসাদুজ্জামান। এ ব্যাপারে আসাদুজ্জামান বলেন, ১৯৮১ সালে আমার নানা কওসার উদ্দিন তাঁর দুই ছেলের নামে এ জমি ক্রয় করেন ছামছদ্দিন মোল্লার কাছ থেকে। যা ওই দুই ছেলে বজলুর রহমান ও আলিনুর রহমানের নামে দেন। এরপর আমার চাচা আলিয়ুর ওই জমি বিক্রি করতে চাইলে তা আমরা ক্রয় করি।যা ক্রয়ের পর থেকে আমরা দখল করে আসছি। বর্তমানে ওই জমিতে আম গাছ লাগিয়েছি আমরা। তারা দীর্ঘ দিন পর গত ১৮-০২-১৮ তারিখে আম বাগানের মধ্যে ছোট ছোট ঘর করে দখলের চেষ্টা করে। জমিটি এখনো আমাদের দখলে আছে।

এ ব্যাপারে কথা হয় বলুহর ইউনিয়ন ভুমি উপ-সহকারী শফিউদ্দিনের সঙ্গে তিনি বলেন, এই জমি কেউ বিক্রি করতে পারে না। সারা জীবন ভোগ দখল করতে পারে। তবে কিভাবে বিক্রি করেছেন তা আমি বলতে পারব না।

কোটচাঁদপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার নাজনীন সুলতানার বলেন, এ জমি বিক্রয় করা যায় না, কেউ বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ওই পক্ষ জাল দলিল করে ভোগ দখল করছে। এটা নিয়ে মামলা চলছে। এদিকে একই খাস জমির মালিক দুই পক্ষ দাবী করায় প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। কে ওই জমির প্রকৃত মালিক।

Print Friendly

Related Posts