দেড় মাস আগে বরাদ্দ এলেও চাউল পায়নি ভোলার ৩৫ হাজার জেলে

জুবায়ের চৌধুরী পার্থ, ভোলা : ভোলা সদরের ইলিশা, মেঘনা, তেতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকাকে মাছের অভয়াশ্রম হিসাবে ঘোষণা করে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সকল ধরনের মাছ ও জাল ফেলা নিষিদ্ধ করেছে মৎস বিভাগ। এতে বেকার হয়ে পড়েছে ভোলার প্রায় দেড় লক্ষাধিক জেলে।

সরকার কর্তৃক জেলেদের নামে আসা চাউল এখনো বিতরন হয়নি। ৪ মাসের বরাদ্দকৃত চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু ২ মাস শেষ হতে চলেছে এখনো দেওয়া হয়নি এক মাসেরও চাউল। বরাদ্দ আসলেও চেয়ারম্যানদের অবহেলার কারণে চাউল পাচ্ছেননা ভোলার ৩৫ হাজার জেলে পরিবার।

ভোলা জেলায় রয়েছে ৬৮টি ইউনিয়ন তার মধ্যে ৪৩টি ইউনিয়নের প্রায় ৩৫ হাজার জেলে এখনো পায়নি একমুঠো চাউলও। মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় কর্মহীন জেলেরা সরকারি সামান্য সহায়তাটুকু থেকে বঞ্চিত হয়ে চরম দূর্ভোগে জীবন যাপন করছে।

জেলা খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভোলা জেলার ৭টি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ২৮ মার্চ সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৩টি ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ মৎস্য চাউল এখনো পর্যন্ত চেয়ারম্যানরা তুলেননি। এর মধ্যে ভোলা সদরের ৫টি ইউনিয়ন, দৌলতখান উপজেলায় ৩টি, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ৬টি, লালমোহন উপজেলায় ২টি, তজুমদ্দিন উপজেলায় ৫টি, চরফ্যালন উপজেলায় ১৬টি ও মনপুরা উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নে এখনো পর্যন্ত বরাদ্দকৃত চাউল সরবরাহ করা হয়নি।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, সরকার থেকে জেলেদের নামে আসা বরাদ্দকৃত চাউল সময়মত বিতরন করা না হলে আমরা কখনোই জেলেদেরকে মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে পারবো না।

জেলা প্রশাসক মোঃ মাসুদ আলম সিদ্দিক জানান, জেলেদের নামে আসা বরাদ্দকৃত চাউল দ্রুত বিতরনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।

Print Friendly

Related Posts