ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের জাঁকজমক ৮ম সমাবর্তন

শির্ক্ষাথীরদের শুধুমাত্র চাকরী জোগাড় করার মধ্য সীমাবদ্ধ না থাকার আহবান রাষ্ট্রপতির

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিক্ষার্থীদেরকে শুধুমাত্র চাকরী জোগাড় করার মধ্য সীমাবদ্ধ না থেকে অর্জিত জ্ঞানের আলোকে নিজের এবং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের আলোকিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা সংলগ্ন মাঠে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ৮ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।

ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক-এর আচার্য রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ডিগ্রীপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদেরকে কেবল প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা আর একটি সার্টিফিকেট দিয়ে তার দায়িত্ব সমাপ্ত করেনি বরং উপযুক্ত শিক্ষা প্রদান করে দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সর্বত্র চেষ্টা করেছে।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকা নয়, আধুনিক বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলী অর্জনের জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহনের প্রয়োজনীয়তা আবশ্যক।

রাষ্ট্রপতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমার সামনে উপবিষ্ট হবু আর্কিটেক্ট, তরুণ বিসনেস ইন্ট্রাপ্রেনার, ইঞ্জিনিয়ার, তরুণ আইনজীবি ও মানবাধিকার কর্মী, ফার্মাসিষ্ট এবং ইংরেজী সাহিত্যদের গ্রাজুয়েটরা, তোমরা আগামীর বাংলাদেশের সম্ভাবনার প্রতীক”।

3rd-Convoc-1

ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের এবারের সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে ৪ হাজার ৩৬৯ জন শিক্ষার্থীর ডিগ্রীর সনদ দেওয়া হয়। এছাড়া রাষ্ট্রপতি ঢাকার গ্রীনরোড়ে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের নিজস্ব ক্যাম্পাসের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশের খ্যাতিসম্পন্ন পদার্থবিজ্ঞানী ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, জীবনে সফলতা পেতে হলে মেধাবী হওয়ার চেয়ে আগ্রহী, উৎসাহী এবং পরিশ্রমী হতে হবে। আর আমাদের এই দেশ তরুণদের দেশ। বায়ান্ন সালে তরুণেরা এই দেশে মাতৃভাষার জন্যে আন্দোলন করেছে, রক্ত দিয়েছে, একাত্তরে সেই তরুণেরাই মাতৃভূমির জন্যে যুদ্ধ করেছে, অকাতরে রক্ত দিয়েছে। আর তোমরা সেই তরুণদের প্রতিনিধি। তোমাদের দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, তোমরা আজ গ্রাজুয়েশন শেষ করার মাধ্যমে নিজের শিক্ষাজীবন পূর্ণ করে দেশ ও দেশের জনগণের সেবার জন্য প্রস্তুত হও।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান এই অনুষ্ঠানে বলেন, শিক্ষার গুনগত মান নিশ্চিতকরণে বিশ্ববিদ্যাগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এক্ষেত্রে ইউনিভাসিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক প্রশংসামূলক অগ্রগতির মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে।

ইউএপির উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ আজ জাতিসংঘের “উন্নয়নশীল দেশ”-এর তালিকায় ঢুকেছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হল ২০৪০ সালের ভিতর একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। সারা বিশ্বে যে আজ বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় দেশ হিসাবে চিহ্নিত করেছে, তার মূলে রয়েছে আমাদের বিশাল এক তরুণ জনগোষ্ঠী।

সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আর কবির।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ম সমাবর্তনে ৮ জনকে আচার্য গোল্ড মেডেল এবং ৩০ জন শিক্ষার্থীকে উপাচার্য গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।

 
তথ্যসূত্র : বাচ্চু শেখ জনসংযোগ বিভাগ ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক

Print Friendly

Related Posts