কমনওয়েলথ গেমসে মণিপুরী মেয়ে সঞ্জিতার সোনা জয়

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ শুক্রবার গোল্ড কোস্টে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয় করলেন মণিপুরী মেয়ে সঞ্জিতা। জীবন বাজি রেখে ভারোত্তোলনে সোনা জিতলেন। শুধু মনের জোরে তুলে ফেললেন মোট ১৯২ কেজি ওজন।  সোনা গলায় ৫৩ কেজি বিভাগে বিজয় স্তম্ভে দাঁড়াতে অসুবিধা হল না তার।

চার বছর আগে গ্লাসগো গেমসে ৪৮ কেজি বিভাগে সোনা জিতেছিলেন। কমনওয়েলথ গেমসে ভারতকে ফের সোনা এনে দিলেন সঞ্জিতা।

পাহাড় ঘেরা গ্রামের মেয়ে। ইম্ফল থেকে কাকচিং খুনোও গ্রাম প্রায় তিনশো কিলোমিটার। সঞ্জিতার বাবা এখনও চাষ করেন জমিতে। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে তিনি তিন নম্বর।

ভারোত্তোলনের এই সোনার মেয়ে বললেন, কর্ণম মালেশ্বরী আমার আইডল। ছোটবেলায় ওঁর ছবি কেটে কেটে  দেওয়ালে আটকে রাখতাম। তখন তো মালেশ্বরীদিদিই ছিলেন আমার প্রেরণা। এক দিন মাম্মির কাছে আবদার করলাম আমাকে সাই সেন্টারে ভর্তি করে দাও। আমি মালেশ্বরী হব! মা নিয়ে গেলেন ইম্ফলে।  ট্রায়াল দিয়ে ভর্তি হয়ে গেলাম। এরপর জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়ে পাতিয়ালা শিবিরে।

বিদ্যুৎ-হীন প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে গোল্ড কোস্টের আলোর নীচে সঞ্জিতার চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তন এবং সোনা জয়।

চিফ কোচ বিজয় শর্মা বললেন, মণিপুরের পাহাড়ে যে নিয়মিত ‘শক্তি’-র এই ফুল ফুটছে, এর পিছনে আছে চরম দারিদ্র আর আর্থ সামাজিক অবস্থা। বাড়িতে বাড়িতে অনেক ছেলে মেয়ে। তাদের পেট পুরে খেতে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই মণিপুরের প্রায় সব পরিবারের বাবা-মা চেষ্টা করেন বয়স দশ-এগারো হলে সাইতে ভর্তি করতে। এখানে থাকা-খাওয়ার পয়সা লাগে না। সফল হলে চাকরি বাঁধা। বক্সিং, ভারোত্তোলনের ট্রেনিং সেন্টার আছে ওখানে। কোচেরা সেটা দারুণভাবে কাজে লাগাচ্ছে। তার সুফল পাচ্ছে দেশ।

Print Friendly

Related Posts